চট্টগ্রাম নগরীতে ১০ হাজার টন বর্জ্য জমেছে
গত চার দিন পুরোদমে কাজ করতে না পারায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) এলাকায় জমে গেছে প্রায় ১০ হাজার টন আবর্জনা। শনিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম।
চসিক সূত্র জানায়, ভারপ্রাপ্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা আবুল হাশেমকে সঙ্গে নিয়ে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে মাঠপর্যায়ে কার্যক্রম তদারকি করেন প্রধান নির্বাহী। এ সময় তিনি পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মীদের সঙ্গে আলাপ করেন এবং প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেন।
পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম তদারককালে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, গত কয়েক দিন আমরা পুরোদমে কাজ করতে পারিনি। ফলে নগরীতে প্রায় ১০ হাজার টন ময়লা-আবর্জনা জমে গেছে। আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, প্রতিটি ওয়ার্ড কার্যালয়ই কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পরিছন্ন কার্যক্রমে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ওয়ার্ড কার্যালয়ে থাকে। এসব যন্ত্রপাতির প্রায় অর্ধেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে আমাদের লোকবল অক্ষত আছে। আমরা আমাদের কাছে থাকা সচল যন্ত্রপাতি দিয়ে কাজ করছি।
আশা করছি কয়েক দিনের মধ্যেই নগরীকে পরিচ্ছন্ন করতে পারব। চসিক যেসব নাগরিক সেবা দিয়ে থাকে সেগুলোকে পুরোদমে সচল করতে আমরা মাঠপর্যায়ে তদারকি করছি।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে চসিকের বিভাগীয় প্রধানদের নিয়ে সভা করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি ও দায়িত্বপালন নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাদের কার্যক্রমকে আরও বেগবান করতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
নগরীর বিভিন্ন স্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং ছাত্রলীগ-যুবলীগের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। মূলত ওই দিন থেকে চসিকের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ব্যাহত হয়।