ছুটির দিনে বিশ্বের সর্বোচ্চ বায়ুদূষণে কবলিত ঢাকা শহর
আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা। দুদিন আগেও টানা তিন দিন ধরে বিশ্বের ১২৬ দেশের শহরের মধ্যে দূষণের শীর্ষে ছিল। ঢাকায় আজ বাতাসে দূষণের মাত্রা ২৭৯, যা খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। বাতাসের এই অবস্থা বিশেষ করে চর্মরোগ, শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা রোগীসহ সুস্থ মানুষের জন্যও খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
অন্যদিকে আজ বায়ুদূষণের শীর্ষ পাঁচে নেই ভারতের কোনো শহর। ২২১ মাত্রার দূষণ নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইজিপটের কায়রো শহর। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। রয়েছে ইরাক ও মঙ্গোলিয়ার শহর।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় বাতাসের এই পরিমাপ করা হয়। বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) দিয়ে বায়ুদূষণের মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
যেভাবে মাপা হয় বায়ুদূষণের মাত্রা
—০—৫০: ভালো
—৫১—১০০: সন্তোষজনক
—১০১—২০০: মাঝারি
—২০১—৩০০: খারাপ
—৩০১—৪০০: খুব খারাপ
—৪০১—৪৫০: ভয়ানক
—৪৫০ +: অতি ভয়ানক
সূচকের হিসাব অনুযায়ী তৃতীয় অবস্থানে থাকা লাহোরের দূষণমাত্রা পরিমাপ করা হয়েছে ১৮৫, যা অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় রয়েছে। চতুর্থ অবস্থানে থাকা ইরাকের বাগদাদ শহরে দূষণের মাত্রা ১৮২ এবং দূষণমাত্রা ১৮১ নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে মঙ্গোলিয়ার উলানবাতার শহর। এই শহর দুটিতে বায়ুদূষণ মাঝারি ধরনের অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতিতে রয়েছে।
বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর। এ বছরের শুরুর দিকে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে বিশ্ব গত বছর রেকর্ড পরিমাণ তেল, কয়লা ও গ্যাস ব্যবহার করেছে। এগুলো বিশ্বকে উত্তপ্ত করা কার্বনদূষণকে নতুন উচ্চতায় ঠেলে দিয়েছে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম ১০ ও পিএম ২.৫), এনও ২, সিও, এসও ২ ও ওজোন (ও৩)।
সর্বশেষ পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা।