26 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
সকাল ৯:৪৯ | ৯ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
জলবায়ুদুর্গত এলাকায় নিরাপদ পানি-পয়োনিষ্কাশনের সুবিধা দেবে ব্র্যাক
জলবায়ু

জলবায়ুদুর্গত এলাকায় নিরাপদ পানি-পয়োনিষ্কাশনের সুবিধা দেবে ব্র্যাক

জলবায়ুদুর্গত এলাকায় নিরাপদ পানি-পয়োনিষ্কাশনের সুবিধা দেবে ব্র্যাক

দেশে জলবায়ুদুর্গত ১৪ জেলার ১০ লাখ প্রান্তিক মানুষের কাছে নিরাপদ-পানি ও পয়োনিষ্কাশনের সুবিধা পৌঁছে দেবে ব্র্যাক। ‘ইকুইটেবল অ্যান্ড সাসটেইনেবল ওয়াশ সার্ভিসেস ইন বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান হটস্পটস ২০২২- ২০২৬’ শীর্ষক এক প্রকল্পের আওতায় এ সুবিধা দেওয়া হবে।

বুধবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে এক কর্মশালার মাধ্যমে এই প্রকল্পের সূচনা হয়। ব্রাকের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের অর্থায়নে ব্র্যাক ওয়াশ কর্মসূচির সঙ্গে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে রয়েছে আইআরসি নেদারল্যান্ডস।

কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘নিরাপদ পানি, পয়োনিষ্কাশন ও পরিচ্ছন্নতায় ব্র্যাকের অভিযাত্রা একটি সমাজ রূপান্তরের গল্প’ শীর্ষক একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।



বইটির সহলেখক এবং ব্র্যাকের ওয়াটার, স্যানিটেশন এবং হাইজিন (ওয়াশ) কর্মসূচির ঊর্ধ্বতন পরিচালক মো. আকরামুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্যে বলেন, বইটিতে ৪০ বছরে বাংলাদেশে ওয়াশ বিষয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ থেকে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, এই বইয়ে তা সংকলিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।

এতে ব্র্যাকের নিজস্ব ওয়াশ কর্মসূচি ছাড়াও সরকার এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমও তুলে ধরা হয়েছে। ব্র্যাকের ওয়াশ কর্মসূচি দেশের দক্ষিণের উপকূলীয় এলাকা, বরেন্দ্রভূমি, আকস্মিক বন্যা ও হাওর এলাকাগুলোর ওপর বিশেষ জোর দিয়ে কাজ করছে বলে জানান তিনি।

স্থানীয় সরকার বিভাগের পানি সরবরাহ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. খাইরুল ইসলাম বলেন, ২০০৩ সালে দেশে মাত্র ৩৩ শতাংশ বাড়িতে স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ছিল এবং ২৫ শতাংশ বাড়িতে ছিল স্বাস্থ্যসম্মত নয় এমন পায়খানা।

তখন একটি বড়সংখ্যক মানুষ খোলা জায়গায় মলত্যাগ করতেন। এখন প্রায় প্রতিটি পরিবার স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহার করতে পারছে। স্যানিটেশন বিষয়ে বাংলাদেশের বর্তমান অগ্রগতি, জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতা মোকাবিলা এবং পরিবেশ সংরক্ষণে কার্যক্রম উন্নয়ন সহযোগীদের দ্বারা উচ্চপ্রশংসিত হয়েছে।



বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন বলেন, ওয়াশ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে নেদারল্যান্ডের অংশীদারি কার্যক্রম শুরু ২০০৫ সালে। পরের বছরই ব্র্যাকের সঙ্গে এ খাতে কাজ অংশীদারিত্ব শুরু হয়।

বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা কিছু ক্ষেত্রে বিরাট মাপের কার্যক্রম, যার বাজেটও বিপুল। তবে ওয়াশের অনেক ধরনের সমাধান রয়েছে, যেগুলো ব্যয়সাশ্রয়ী, টেকসই এবং উদ্ভাবনমূলক।

বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্ বলেন, অনেক অগ্রগতি হয়েছে, তবে এখনো দেশে দুই কোটি অতিদরিদ্র মানুষ রয়ে গেছেন।

পরবর্তী সংকট সৃষ্টি হবে পানি ঘিরেই। সে বিষয়ে ইতিমধ্যে বিভিন্ন মহল থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে এবং সংলাপও শুরু হয়ে গেছে। এ অবস্থায় এখনই পদক্ষেপ না নেওয়া হলে এবং জোরদার পরিকল্পনা না করা হলে পানির চরম সংকটে পড়তে হবে।

এনজিও ব্যুরোর মহাপরিচালক শেখ মো. মনিরুজ্জামান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী এইচ এম খালেকুর রহমান, ওয়াটারএইডের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক খায়রুল ইসলাম এবং বিশ্বব্যাংকের ওয়াশ বিশেষজ্ঞ রোকেয়া আহমেদ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত