জলবায়ু রক্ষায় অনবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বের হয়ে আসতে হবে
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলাতানা কামাল বলেছেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন প্রতিরোধে বিভিন্ন ধরনের অনবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্প থেকে পর্যায়ক্রমে বের হয়ে আসার বিকল্প নেই।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নানা কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা নীতি নির্ধারকদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানাচ্ছি। একইসঙ্গে জাতিসংঘের সাধারণ সম্মেলন ও ইউএনএসজি ক্লাইমেট অ্যাম্বিশন সামিটে অংশ নিতে যাওয়া বিশ্বনেতাদের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আলোচনায় সীমাবদ্ধ না থেকে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।
মঙ্গলবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে সারা দেশের সব আয়োজনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন সুলাতানা কামাল এবং ধারণা বক্তব্য তুলে ধরেন ব্রতী’র নির্বাহী পরিচালক শারমিন মুরশিদ।
এছাড়া কোস্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালক এম মুস্তফা কামাল আকন্দ, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা, বাংলাদেশ সাইকেল লেন বাস্তবায়ন পরিষদের সভাপতি মো. আমিনুল ইসলাম তুবুস, ইকুইটি বিডি’র সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আমিনুল হক, গ্লোবাল ল’ থিংকারস সোসাইটির প্রেসিডেন্ট রাওমান স্মিতাসহ বিভিন্ন সামাজিক ও পরিবেশবাদী সংগঠনের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় শারমিন মুরশিদ বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আমাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আমরা আজ দেশব্যাপী জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছি।
এ আয়োজন শুধুমাত্র সমাবেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বিভিন্ন কর্মসূচির ও নানা শ্রেণী-পেশার মানুষদের অংশগ্রহণ আমাদের দাবির বিষয়গুলোকে আরও শক্তিশালী করবে। জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে আমরা বিশ্বনেতাদের আশু পদক্ষেপ গ্রহণে আহ্বান জানাচ্ছি।’
বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সদস্য এম এস সিদ্দিকী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য যে দেশগুলো দায়ী, তাদেরকে এ বিপর্যয় মোকাবিলায় যথাযথ দায়িত্ব নিতে হবে এবং কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
বৈশ্বিক বিভিন্ন সম্মেলনে দায়সারা পরিকল্পনা গ্রহণ ও কার্যকরী ভূমিকা পালনে গড়িমসি করে বিশ্বকে আরও বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’
রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান, মোহাম্মদ এজাজ আমাদের এই কর্মসূচিতে সংহতি জানান ও তার বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশের জ্বালানি পরিকল্পনার মধ্যে হাইড্রোজেন থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সিদ্ধান্ত খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
এ ধরনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে যে ধরনের প্রযুক্তিগত, কারিগরি ও অন্যান্য সক্ষমতা প্রয়োজন, আমরা এখন তা অর্জন করতে পারিনি। তাই জ্বালানিনীতি গ্রহণের ক্ষেত্রে নিজেদের সক্ষমতার বিষয়টি সবসময় বিবেচনায় নিয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।’