জাতীয় পরিবেশ পদক ২০২৪-এর জন্য ৩ ব্যক্তি ও ৩ প্রতিষ্ঠান মনোনীত
পরিবেশ রক্ষা, দূষণ নিয়ন্ত্রণ, জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং পরিবেশবিষয়ক গবেষণায় অবদান রাখার জন্য জাতীয় পর্যায়ে সম্মানজনক ‘জাতীয় পরিবেশ পদক-২০২৪’-এর জন্য তিনজন ব্যক্তি এবং তিনটি প্রতিষ্ঠানকে মনোনীত করেছে সরকার। সম্প্রতি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে গঠিত জাতীয় কমিটির এক বৈঠকে এই মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়।
এই পদক পরিবেশ সংরক্ষণে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতি প্রদানের মাধ্যমে সবার মাঝে পরিবেশবিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টি এবং পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ গ্রহণে উৎসাহিত করার লক্ষ্যেই প্রদান করা হয়। এবারও তিনটি বিভাগে ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিভাগে ব্যক্তি পর্যায়ে মনোনীত হয়েছেন পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার আজিজনগর গ্রামের বাসিন্দা মো. মাহমুদুল ইসলাম। প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে মনোনীত হয়েছে ঢাকার ধামরাইয়ে অবস্থিত স্নোটেক্স আউটারওয়্যার লিমিটেড, যেটি পরিবেশবান্ধব শিল্প কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলেছে।
পরিবেশবিষয়ক শিক্ষা ও প্রচার ক্যাটাগরিতে ব্যক্তি পর্যায়ে মনোনয়ন পেয়েছেন চট্টগ্রামের সিডিএ আবাসিক এলাকার মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী। একই বিভাগে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে মনোনীত হয়েছে ‘ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট’ নামের একটি বেসরকারি সংগঠন, যারা দীর্ঘদিন ধরে নীতিগত ও জনপর্যায়ে পরিবেশবান্ধব সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে।
এছাড়া, পরিবেশবিষয়ক গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে অবদানের জন্য ব্যক্তি পর্যায়ে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন অধ্যাপক ড. এম ফিরোজ আহমেদ। প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে মনোনীত হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি), যা দেশের কৃষিভিত্তিক পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।
প্রতিটি বিজয়ীকে জাতীয় পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননা প্রদান করা হবে। পদকের অংশ হিসেবে থাকছে ২২ ক্যারেট মানের দুই তোলা ওজনের স্বর্ণের সমপরিমাণ অর্থমূল্য, ৫০ হাজার টাকার একটি চেক, একটি সম্মাননাপত্র এবং একটি ক্রেস্ট।
জাতীয় পরিবেশ পদক কেবলমাত্র একটি পুরস্কার নয়, এটি পরিবেশ রক্ষায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের প্রতি রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। একই সঙ্গে এটি সমাজের সকল স্তরের মানুষকে পরিবেশ রক্ষায় এগিয়ে আসার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয়। সরকারি এই উদ্যোগকে অনেকেই পরিবেশ সুরক্ষায় একটি কার্যকর অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখছেন।