জামালপুরে গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে জেলার দেওয়ানগঞ্জ, মেলান্দহ, ইসলামপুর ও মাদারগঞ্জ উপজেলার যমুনার নিম্ন চরাঞ্চলের প্লাবিত হয়ে কয়েকশ একর ইরি-বোরো পাকা ধান, উঠতি পাট, ইক্ষু, কাউন, কাঁচা সবজিক্ষেত তলিয়ে গেছে।
কৃষি বিভাগ ও স্থানীয়দের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরাবাদ, চিকাজানী, চুকাইবাড়ি ইউনিয়ন, ইসলামপুর উপজেলার কুলকান্দি, বেলগাছা, চিনাডুলি, নোয়ারপাড়া ও সাপধুরি ইউনিয়ন, মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া ও ঝাওগড়া ইউনিয়ন, রৌমারী বিল, মাদারগঞ্জ উপজেলার গাবেরগ্রাম, বনচুথুলিয়া, চাঁদপুর, চর চাঁদপুর এবং বালিজুড়ি ইউনিয়নের তারতাপাড়া, শুভগাছা, চর শুভগাছা, মির্জাপুর, নাদাগারী, নাংলা, জমির ইরি-বোরো পাকা ধান বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। তলিয়ে যাওয়া সেসব ধান কাটতে শ্রমিকও পাচ্ছেন না সেখানকার কৃষকেরা।

ইসলামপুরের চিনাডুলি গ্রামের কৃষকেরা জানান, একদিকে কৃষি শ্রমিকের অভাবে মাঠের পাকা ধান তারা কাটতে পারছে না। তারমধ্যে প্রবল বৃষ্টি এবং পাশ্ববর্তী দেশের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীতে হঠাৎ আগাম বন্যা দেখা দিয়েছে। ফলে নিন্মাঞ্চল বন্যার পানিতে ক্ষেতের প্রচুর পাকা ধান তলিয়ে গেছে। অনেকে আবর বেশি দামে শ্রমিক নিয়ে তলিয়ে যাওয়া পাকা ধান কেটে নৌকা বা কলার ভেলায় বোঝাই করে উঁচু স্থানে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। একইসঙ্গে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় কৃষকদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।

ইসলামপুর উপজেলার চিকাজানী ইউনিয়ন, চিনাডুলি ইউনিয়ন, সাপধুরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এবার আগাম ব্যন্যায় কৃষকের ফসল তলিয়ে ব্যাপক ক্ষতির আশংকা দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে মাদারগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, উজানের ঢলে কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব এখনও পাওয়া যায়নি। দুই-একদিন পর হয়তো পানি কমে যাবে। পানি কমলে হয়তো ২৫% ফসলের ক্ষতি হবে বলে জানান। সূত্র: ঢাকা ট্রিবিউন