দেশে টানা পঞ্চমবারের মতো ওয়ানটাইম প্লাস্টিক দূষণকারী শীর্ষ প্রতিষ্ঠান ‘কোকাকোলা’
এবারও ওয়ানটাইম প্লাস্টিকে শীর্ষ দূষণকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে কোকাকোলা। বাংলাদেশে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীটি টানা পঞ্চমবারের মতো ওয়ানটাইম প্লাস্টিকে শীর্ষ দূষণকারী হিসাবে তাদের অবস্থানে ধরে রেখেছে।
বেসরকারী সংস্থা এনভায়ারনমেন্ট এন্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশন- এসডো পরিচালিত এক জরিপে উঠে আসে এমন তথ্য। সম্প্রতি রাজধানীর লালমাটিয়ায় এসডো অফিসে আয়োজিত জরিপের ফলাফল উপস্থাপন অনুষ্ঠানে এ তথ্য দেন সংস্থার কর্মকর্তারা।
বাংলদেশে প্লাস্টিক, কেমিক্যাল ও সীসা’র দূষণ নিয়ে কাজ করা সংস্থা এসডো জানায়, বছরে ওয়ানটাইম প্লাস্টিক দূষণে মোট বর্জ্যের ২০.৭৮ ভাগ উৎপাদন করে কোকাকোলা কোম্পানী।
এরপরই আছে পেপসিকো কোম্পানী। তাদের দূষণকারী বর্জ্য ১৫.৬০ ভাগ। এছাড়া প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ ৯.৬৩%, ইউনিলিভার ৬.৫%, পারটেক্স গ্রুপ ৫.০৮%, আকিজ গ্রুপ ৩.৬৩%, নেসলে ৫.১%, বোম্বে সুইটস লিমিটেড ৩.০৭%, ইত্যাদি।
এ বছর দেশের প্রধান তিন শহর ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় চালানো হয় এই জরিপ। এতে অংশ নেন প্রায় ২৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক। তিনটি শহরে স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে প্রায় ৩০৮৬২ পিস প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়।
সংগৃহীত বর্জ্যের মোট পরিমাণ ছিল ১৬৬.১৮৭৭ কেজি। সংগ্রহের পরে, বর্জ্যগুলি বাছাই করা হয় এবং সেগুলোর ব্র্যান্ডগুলোকে রেকর্ড করা হয়। অডিট রেকর্ডে প্রধানত ৩৮টি স্থানীয় এবং ১৪টি আন্তর্জাতিক কোম্পানি চিহ্নিত করা হয়েছে যাদের মাঝে প্রায় ২২০টি ব্র্যান্ড রয়েছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব এবং এসডোর চেয়ারপারসন সৈয়দ মারগুব মোর্শেদ জানান, ওয়ানটাইম প্লাস্টিক শুধু পরিবেশের নয়, মানুষের জন্যও মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই এ দূষণের দায় কোম্পানীগুলোকেই নিতে হবে বলে জানান তিনি।
জরিপের ফলাফল উপস্থাপন অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন, এসডোর সিনিয়র টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রোফ. ড. আবুল হাসেম, নির্বাহী পরিচালক সিদ্দীকা সুলতানা, মহাসচিব ড. শাহরিয়ার হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।