পরিবেশ ও বায়ু দূষণ রোধে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া সাইকেল যাত্রা
পরিবেশ ও বায়ু দূষণ রোধে মানুষকে সচেতন করতে আল আমিন, শাহিন আলম ও ফরহাদ মিয়া নামে তিন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী তেঁতুলিয়া-টেকনাফ বাইসাইকেল চালিয়ে সচেতনতামূলক পথযাত্রা শুরু করেছেন।
‘টেকসই পৃথিবী গড়ি, নেট-জিরো কার্বন মেনে চলি’ এই প্রতিপাদ্য সামনে নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা জিরোপয়েন্ট থেকে এই তিন তরুণ শিক্ষার্থী বাইসাইকেল চালিয়ে টেকনাফের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন।
জানা গেছে, আল-আমীনের বাড়ি নওগাঁ জেলায়। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী, শাহিন আলমের বাড়ি সুনামগঞ্জে, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এবং ফরহাদ মিয়া ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (IBA) বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র। তার বাড়ি নড়াইল জেলায়।
তারা জানান, তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বাইসাইকেল চালিয়ে পরিবেশ বায়ুদূষণ রোধে বিভিন্ন পথসভা ও আলোচনার আয়োজন করবেন। করবেন বৃক্ষরোপণ, সংগ্রহ করবে বিভিন্ন জেলার মাটি। তাদের এই সাইকেল যাত্রা আগামী ৮ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করবেন জানান তারা।
এ বিষয়ে শিক্ষার্থী আল আমিন বলেন, প্রতিনিয়ত আমাদের দেশের পরিবেশ ও বায়ু দূষিত হচ্ছে। আর এই দূষণের কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। আমাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল সাধারণ মানুষকে সচেতন করব। তাই আমরা তিনজন তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফের পথে সাইকেল চালিয়ে আমাদের এই সচেতনতামূলক সাইকেল যাত্রা শুরু করেছি। আমরা ইতিমধ্যে ৬০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়েছি।
একই কথা বলেন শাহীন আলম নামে অন্য দুই শিক্ষার্থী। তারা বলেন, আমরা পরিবেশ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছি। বিভিন্ন সচেতনতামূলকসহ বিভিন্ন প্রোগ্রাম ইতিমধ্যে শেষ করেছি।
দেশের মানুষকে পরিবেশ বিষয়ে সচেতন করতে আমরা এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আমরা তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সাইকেল চালিয়ে বিভিন্ন গ্রাম গঞ্জের পথে ঘাটের মানুষকে পরিবেশ বিষয় সচেতন করব।
ইতিমধ্যে আমরা এ কাজ শুরু করেছি। সকল মানুষ আমাদের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ ও সহযোগিতা করছে। আমরা দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই আমরা যেন এই যাত্রা শেষ করতে পারি সফলভাবে।
ফরহাদ মিয়া জানান, বিশ্ববিদ্যালয় আমরা বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত রয়েছি। তাই আমাদের ইচ্ছে ছিল সাইকেল চালিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করব। তাই আজকে আমরা তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফের পথে।
আমাদের এই কাজে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়, প্রশাসন ও সাধারণ মানুষ যেভাবে সহযোগিতা করছে এতে আমরা অনেক কৃতজ্ঞ। আমরা এই যাত্রা সফলভাবে শেষ করতে পারলে পরবর্তীতে বাইরের দেশেও এমন ব্যতিক্রম উদ্যোগ নেওয়ার ইচ্ছে রয়েছে।
এদিকে বাংলাবান্ধা এলাকার নুর ইসলাম নামে এক বাসিন্দা বলেন, সড়কে হঠাৎ তিনজন যুবককে সাইকেল চালিয়ে যেতে দেখলাম। তারা পরিবেশ নিয়ে মানুষকে সচেতন করছে। এটি ভালো কাজ। তাদের জন্য শুভকামনা রইল।