পরিবেশ রক্ষায় বর্জ্য পদার্থ থেকে বায়ো প্লাস্টিক তৈরি
নতুন প্রজন্মকে ব্যবসায় উৎসাহী করতে ফেডারেশন অফ সাউথ বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স ও ইন্ডাস্ট্রির পক্ষ থেকে সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় আসানসোল ক্লাবে । এই সেমিনারে উপস্থিত হয়ে ইটিভি ভারতের মুখোমুখি হয়েছিলেন বিশিষ্ট পরিবেশ বিজ্ঞানী ড. স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী ।
যে কোনও বর্জ্য পদার্থ থেকে বায়ো প্লাস্টিক তৈরি থেকে শুরু করে কার্বন ট্রেডিং নিয়ে এই প্রজন্মের ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহিত করেন তিনি । সমস্যা নয়, সমাধানের ব্যতিক্রমী দিশা দেখালেন তিনি ।
স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী বলেন, ‘বর্তমান প্রজন্ম উদ্যোগী হওয়া থেকে মুখ ফেরাচ্ছে । তারা উচ্চ শিক্ষিত হচ্ছে । কিন্তু তারা ব্যবসা করবে, এটা পড়াশোনা করার সময় তারা ভাবছে না ।
আর সেই কারণেই এই প্রজন্মকে ব্যবসায় উৎসাহী করতে, বর্তমানে যারা উদ্যোগপতি আছেন, তাঁদের সঙ্গে সেতুবন্ধন করতে আসানসোলে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছিল ।’
তাঁর কথায়, ‘আমি যেহেতু পরিবেশ নিয়ে কাজ করি, আমি জানি এখানে অনেক শিল্প কল কারখানা আছে । এখানে কার্বন ক্যাপচারের মাধ্যমে কার্বন ট্রেডিং করা যায় । সেখানে প্রচুর আয় করা সম্ভব । কেউ ইচ্ছে করলে সেই ব্যবসা শুরু করা যায় ।’
প্লাস্টিক নিয়ে স্বাতী নন্দী চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘আমরা প্লাস্টিক ম্যানেজমেন্ট করতে পারছি না । ইলেকট্রনিক ওয়েস্ট বা বর্জ্য কীভাবে ম্যানেজ করব বুঝতে পারছি না ।
অথচ এগুলোই নতুন করে দিশা দেখাতে পারে এই প্রজন্মকে । অর্থাৎ সমস্যাকে তুলে ধরা নয় । সমাধান থেকেই ব্যতিক্রমী আয়ের উৎস তৈরি হবে ।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্লাস্টিকের সমস্যাকে সমাধান করতে বায়ো প্লাস্টিক ব্যবহার করতে হবে । কিন্তু এখানে বায়ো প্লাস্টিক কে বানাচ্ছে ? ইন্ডাস্ট্রি কোথায় ? গাছ থেকে, নষ্ট খাবার থেকে বায়ো প্লাস্টিক তৈরি হয় । এমনকি কৃষি বর্জ্য থেকেও বায়ো প্লাস্টিক তৈরি হয় ।’
কিন্তু কে প্রশিক্ষণ দেবে ? কীভাবে উৎসাহীরা এগিয়ে আসবেন ? উত্তরে পরিবেশ বিজ্ঞানী স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী বলেন, ‘এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা যদি সত্যিই উদ্যোগী হয়, এই বিষয়ে আমরা নিশ্চয়ই তাঁদের সব রকমের সহযোগিতা করব ৷
শুধু তাই নয়, বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংগঠন রয়েছে তারাও এগিয়ে আসবে বিষয়টিতে । আলাপ আলোচনার মাধ্যমে নতুন উদ্যোগ উঠে আসতে পারে ।’