পরিবেশ রক্ষায় বৃষ্টির পানির ব্যবহার নিশ্চিতে ওয়াটারএইড ও সিআরপির মধ্যে স্মারক সই
বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবহার নিশ্চিতে রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং টেকনোলজি কেন্দ্রিক একটি প্রকল্প পরিচালনার লক্ষ্যে সম্প্রতি ওয়াটারএইড ও সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অব দ্য প্যারালাইজডের (সিআরপি) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই প্রকল্পের মুখ্য উদ্দেশ্য হলো ভূগর্ভস্থ পানির উন্নততর সংস্থান এবং টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করাসহ জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বৃষ্টির পানি সংগ্রহ প্রযুক্তি প্রতিস্থাপন করা।
প্রতিস্থাপন পরবর্তীকালে প্রত্যাশিত সুবিধাগুলো অব্যাহত রাখার জন্য ফলপ্রসূ কার্যপ্রক্রিয়া এবং রক্ষণাবেক্ষণ অবকাঠামো নির্মাণ।
পাঁচ বছর মেয়াদি এই উদ্যোগটি ২০২৮ সালের ৪ মার্চ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। সমঝোতা স্মারকে ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান এবং সিআরপির নির্বাহী পরিচালক ড. মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিআরপির প্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়কারী ভ্যালেরি টেইলর, ওয়াটারএইডের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক খায়রুল ইসলাম, সিআরপির চিফ অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন শাহ মো. আতাউর রহমান এবং ওয়াটারএইডের পরিচালক (পলিসি অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি) পার্থ হেফাজ শেখ।
হাসিন জাহান বলেন, ‘বৃষ্টির পানির মতো মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ সংস্থান এবং একে সাধারণের উপকারে ব্যবহার উপযোগী করে তোলার জন্য চাই সম্মিলিত পদক্ষেপ।
ওয়াটারএইড বিশ্বাস করে, এ ধরনের অংশীদারত্বের ভিত্তিতে ভূগর্ভস্থ পানির সংরক্ষণ নিশ্চিতের মাধ্যমে দেশের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব।’
সিআরপির নির্বাহী পরিচালক ড. মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন বলেন, ‘ওয়াটারএইডের সঙ্গে অংশীদারত্ব আমাদের পরিবেশ-সংক্রান্ত পোর্টফোলিওকে আরও সমৃদ্ধ করার সুযোগ এনে দিয়েছে।
এর মাধ্যমে আমরা আমাদের কর্মীদের সক্ষমতা বিকাশের সুযোগকেও কাজে লাগাতে চাই। আমরা পরিবেশবান্ধব এবং টেকসই উন্নয়নমুখী চর্চায় সবাইকে উৎসাহী করে তোলার বিষয়ে আগ্রহী।
এটি সিআরপিকে শুধু একটি সবুজ ক্যাম্পাস হিসেবেই রূপান্তরিত করবে না, অন্য অংশীজনদের সামনে আমাদের আদর্শ উদাহরণ হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করবে।’