পরিবেশ রক্ষায় শব্দদূষণ কমাতে হর্ন বাজালেই ফাইন: পরিবেশ উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বায়ুদূষণ একটা ক্রাইম। শব্দদূষণ কোনোভাবেই সহ্য করা যায় না। এটা নিয়ন্ত্রণে মে মাস থেকে হর্ন বাজানোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরিবেশ দূষণের বিরুদ্ধে প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং বিচার বিভাগের আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
‘ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে বিবেকে বাধা দেওয়া উচিত নয়, পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়া ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনাও জরুরি,’ বলেন তিনি।
তিনি আরো জানান, রংপুরে সম্প্রতি বাজারের মধ্যে স্থাপিত একটি তামাক ক্রাশিং ইউনিটের বিরুদ্ধে কার্যকর অভিযান চালানো হয়েছে।
তিস্তা নদী পুনর্বাসনের বিষয়ে তিনি জানান, ‘আমরা পাঁচটি জেলায় গণশুনানির পরিকল্পনা করেছি, ডিসিরা যাতে এর সমন্বয় করেন, সে বিষয়ে অনুরোধ জানাই।’
শব্দদূষণ ও পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে প্রশাসনের কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান উপদেষ্টা রিজওয়ানা। তিনি বলেন, ‘২০০২ সাল থেকে পলিথিন নিষিদ্ধ, অথচ এটি অবাধে ব্যবহৃত হচ্ছে। আগামী তিন মাসের জন্য প্রতি সপ্তাহে বাজার এবং উৎপাদন কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করা এবং উৎপাদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ করা প্রয়োজন।’
শব্দদূষণ রোধে ছাত্র-ছাত্রীদের সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘স্কুলের শিক্ষার্থীরা হর্ন বাজানোর বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে পারে। প্রথমে জনগণের মনোভাব পরিবর্তন করতে হবে, এরপর আইনের প্রয়োগ কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি জানান, পরিবহন মালিকদের সঙ্গেও এ বিষয়ে আলোচনা হবে এবং মে মাস থেকে হর্ন বাজানোর বিরুদ্ধে জরিমানা কার্যকর করা হবে। পুলিশ প্রশাসন, টুরিস্ট পুলিশ এবং হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। আসন্ন ঈদে লঞ্চগুলোতে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে বিশেষ অভিযান চালানো হবে।
পরিবেশ রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগের ওপর জোর দিয়ে উপদেষ্টা রিজওয়ানা বলেন, সরকারের বিভিন্ন সংস্থা যদি একসঙ্গে কাজ করে, তাহলে দূষণমুক্ত নদী ও পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।