মেহেরপুরে গ্রীস্মকালীন বারী-৫ জাতের পেঁয়াজ চাষে আশার আলো দেখেতে পাচ্ছেন সেখানকার চাষিরা। আর এই পেয়াজের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সারা বছর জুড়েই চাষ করা যায় এই পেয়াজ। নতুন এই জাতের পেঁয়াজ আবাদ করে সফলও হয়েছে চাষী। চাষীরা মনে করছেন ভাল ফলনের পাশাপাশি ভাল দামও পাওয়া যাবে। নতুন জাত হলেও এরই মধ্যে চাষীদের মন কেড়ে নিয়েছে এই বারী পেঁয়াজ-৫। আগামী মৌসুমে এই জাতের পেঁয়াজ বীজের প্রত্যাশা করেছে চাষীরা।

দেশের পেয়াঁজ ঘাটতি কমাতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইন্সটিটিউট উদ্ভাবন করেছে উচ্চ ফলনশীল বারী পেঁয়াজ-৫। যা সারাবছর চাষীরা আবাদ করতে পারবে।
তারই ধারাবাহিকতায় বছরব্যাপী পেঁয়াজ উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় ইফাদের অর্থায়নে, ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে, পিকেএসএফ ও কৃষিবিভাগের সহযোগীতায় মেহেরপুর জেলায় চাষ হয়েছে বারী পেঁয়াজ-৫। পরীক্ষামুলক চলতি গ্রীস্ম মৌসুমে জেলায় বেশ কিছু চাষী এই জাতের পেঁয়াজ চাষ করে সফল হয়েছে । এই সময় এই জাতের পেঁয়াজের আবাদ দেখে আগামীতে পেঁয়াজ চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে অনেক চাষী।
পেঁয়াজ চাষীদের ধারণা ছিল না এই সময় পেঁয়াজের ফলন হবে। তবে এখন আবাদ করে দেখছে পেঁয়াজের যা গুটি এসেছে তাতে মনে হচ্ছে বিঘাপ্রতি ৮০-১০০ মন ফলন হবে।
ওয়েভ ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ নাসির উদ্দীন আহম্মেদ জানান, জেলায় বিভিন্ন চাষীদের মাধ্যমে ২৫ হেক্টর জমিতে বারী পেঁয়াজ-৫ আবাদ করা হয়েছে। ভাল ফলন হবে এবং চাষীরা লাভবান হবে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম, মনজুর হোসেন জানান, যেহেতু দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি আছে সেই জন্য বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইন্সটিটিউট উদ্ভাবন করেছে উচ্চ ফলনশীল বারী পেঁয়াজ-৫। এটি একটি পরীক্ষিত জাত যা সারা বছর আবাদ করা যাবে। এই জাতের পেঁয়াজ চাষ যদি সারা দেশে সম্প্রসারিত করা যায় তবে দেশের পেঁয়াজ ঘাটতি থাকবেনা।
দেশের পেঁয়াজ ঘাটতি কমাতে জেলায় এই জাতের পেঁয়াজ চাষ বৃদ্ধির লক্ষে চাষীদের উদ্বুদ্ধ করছে বলে জানালেন মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ স্বপন কুমার খাঁ।