বিতর্ক এড়িয়ে কাজ করতে চান পরিবেশমন্ত্রী
বিতর্ক এড়িয়ে কাজ করতে চান নতুন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেছেন, তার কাছে কোনো ধরনের তদবির গ্রহণযোগ্য হবে না।
নতুন মন্ত্রী হিসেবে রোববার সচিবালয়ে সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করা হবে। দায়িত্ব পালনে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি করা বা তদবির গ্রহণযোগ্য হবে না। গণমাধ্যমকেও সার্বিক সহায়তা করা হবে।’
পরিবেশ দূষণ রোধে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা কাজ করব।’
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী কাজ করছেন পরিবেশ নিয়েও। গত বছরের ১২ জুন তিনি প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ পান। একাদশ সংসদে তিনি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্বেও ছিলেন।
মন্ত্রিসভায় তিনি আগেও এসেছিলেন। ১৯৯৬ সালে ঢাকার খিলগাঁও-সবুজবাগ নিয়ে গঠিত সে সময়ের ঢাকা-৬ আসনে জয় পাওয়ার পর তাকে প্রথমে নৌপরিবহন এবং পরে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী করা হয়। তবে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফেরার পর তিন মেয়াদে তাকে কোনো মন্ত্রণালয় দেওয়া হয়নি।
এবার পরিবেশ মন্ত্রী হওয়ার পর সাংবাদিকদেরকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় জলবায়ু পরিবর্তন খাতে আন্তর্জাতিক তহবিল পাওয়ার চেষ্টায় মন দেওয়ার কথা বলেছিলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রণালয়ের অগ্রাধিকার বিবেচনায় নিয়ে ১০০ দিনের কর্মপরিকল্পনা তৈরির কথাও বলেছেন তিনি। সেই সঙ্গে টেকসই উন্নয়ন, বন দখল রোধে আইনের যথাযথ প্রয়োগের ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, পানিদূষণ, প্লাস্টিক-পলিথিন দূষণ এবং পাহাড় কাটা বন্ধে স্টেকহোল্ডারদের পরামর্শ গ্রহণ করে সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’