মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২০২০ : নির্বাচনে পরিবেশ বান্ধব কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বাইডেনের প্রয়োজন – ডেমোক্রেট ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস
আগামী ৩ ডিসেম্বর ২০২০ মার্কিন প্রেসিডেনাটশিয়াল নির্বাচন। বর্তমান পর্যায়ে এসে মার্কিন প্রেসিডেন্টশিয়াল নির্বাচন খুবই উত্তেজনায় পৌঁছেছে। মার্কিন নির্বাচনে সবচেয়ে আকর্ষনীয় দিক হলো প্রেসিডেন্টের মূল প্রার্থীদের মধ্যে বির্তক অনুষ্ঠান।
যদিও করোনায় আক্রান্ত হয়ে বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিপাবলিক প্রার্থী ট্রাম্প বর্তমানে নিজে নির্বাচন প্রচার হতে দূরে আছেন এবং এ কারণে তার ডেমোক্রেট প্রতিদন্ধী জো বাডেনের সাথে নির্ধারিত ২য় বির্তকটি বাদ দিতে হয়েছে।

করোনা আক্রান্ত হওয়ার আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জো বাডেনের মধ্যে প্রথম প্রেসিডেন্টশিয়াল নির্বাচন বির্তক অনুষ্ঠিত হয় এবং সে বির্তকে বিভিন্ন মিডিয়ার জরীপে জো বাডেনকে এগিয়ে রাখা হয়।
ইতোমধ্যে বিশ্ববাসী দেখেছে যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি স্বীকার করেন না এবং ২০১৫ সালে জাতিসংঘের নেতৃত্বে প্যারিসে স্বাক্ষরিত জলবায়ুর পরিবর্তন রোধের ঐতিহাসিক গ্যারিস চুক্তি হতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে এনেছেন।
গত ৭ অক্টোবর ডোনাল্ড ট্রাম্পের রানিং মেট ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মাইক পেন্স এবং জো বাডেনের রানিং মেট ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হারিস এর মধ্যে এক ভাইস প্রেসিডেন্টশিয়াল এক বির্তক অনুষ্ঠিত হয়, যা ৫ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ উপভোগ করে।
সে বির্তকে কমলা হারিস ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন রোধে কাজ করবে বলে পূণ:ব্যক্ত করে।
মূলত: জো বিডেন এবং তার ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস তাদের প্রচারণা জুড়ে পরিবেশগত উদ্বেগগুলির পুনরাবৃত্তি করে চলেছেন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
ভাইস প্রেসিডেন্ট বিতর্কের বক্তব্যে হ্যারিস বলেছেন যে জো বিডেন নির্বাচিত হলে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তিতে পুনরায় প্রবেশ করবে যা ট্রাম্প প্রশাসন পরিত্যাগ করেছে।
হ্যারিস আরও বলেছেন, বিডেন আরও বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার পরিকল্পনা নিয়েছে এবং এর মধ্যে কিছু পরিষ্কার ও নবায়নযোগ্য জ্বালানী (clean and renewable energy) খাতে।
ক্যালিফোর্নিয়ার সিনেটর বলেন যে, বিডেন “বিজ্ঞানে বিশ্বাসী”, অপর দিকে বিশেষজ্ঞরা যে সিদ্ধান্তকে গ্রহন করেন, তাতে অস্বীকার করা ট্রাম্প প্রশাসনের একটি “প্যাটার্ন” হয়ে দাড়িয়েছে।
কমলা হ্যারিস বলেন, “আপনি কি জানেন, এই প্রশাসন বিজ্ঞান শব্দটি ওয়েবসাইট হতে বাদদিয়ে দেয়, এবং এর পরে ওয়েবসাইট হতে জলবায়ু পরিবর্তন বাক্যটি বাদ দেওয়ার সুযোগ দেয়া হবে? আমরা এই প্রশাসনের একটি প্যাটার্ন দেখেছি, যা হল তারা বিজ্ঞানকে বিশ্বাস করে না।