লালমাই পাহাড় কেটে অবকাঠামো নির্মাণ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অধিকতর উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পে লালমাই পাহাড় কেটে অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। এতে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
অনন্য প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদসমৃদ্ধ লালমাই পাহাড় ধ্বংস করায় পরিকল্পনা কমিশন এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে এর দায়-দায়িত্ব নিরূপণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব দিল আফরোজ বেগম স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে অনুরোধ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের একনেক সভায় এই প্রকল্প অনুমোদনের সময় শর্ত দেওয়া হয়েছিল, অবকাঠামো নির্মাণে পাহাড় না কেটে ডিজাইন তৈরি করতে হবে। পরিবেশ অধিদফতরের শর্তেও বলা হয়েছিল, প্রকল্পে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হয় এমন কোনও কাজ করা যাবে না।
তবে এসব শর্ত ভঙ্গ করে কোনও পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়াই পাহাড় কেটে অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি সরেজমিন পরিদর্শন করে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠান হিসেবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ধরনের কর্মকাণ্ড নেতিবাচক উদাহরণ তৈরি করেছে। এর ফলে সমাজে পাহাড় কেটে উন্নয়ন কাজ করার ভুল বার্তা পৌঁছাচ্ছে বলে মন্ত্রণালয়ের অভিমত।