শব্দদূষণ রোধের মাধ্যমে শ্রবণক্ষমতা হারানোর ঝুঁকি কমানো সম্ভব: পরিবেশ উপদেষ্টা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘শব্দদূষণ রোধ ও সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে শ্রবণক্ষমতা হারানোর ঝুঁকি কমানো সম্ভব। এ জন্য আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন আনতে হবে এবং অপ্রয়োজনীয় শব্দ সৃষ্টি থেকে বিরত থাকতে হবে।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নাক, কান, গলা ও হেড-নেক ক্যানসার হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘শ্রবণস্বাস্থ্য রক্ষা শুধু ব্যক্তিগত বিষয় নয়, এটি পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যেরও গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শব্দদূষণ শ্রবণক্ষমতা হ্রাসের অন্যতম কারণ।
শহরাঞ্চলে অতিরিক্ত যানবাহনের হর্ন, শিল্পকারখানার শব্দ ও উচ্চস্বরে মাইক ব্যবহারের কারণে শ্রবণজনিত সমস্যার ঝুঁকি বাড়ছে। সরকার শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে, তবে নাগরিকদেরও সচেতন হতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘হর্ন বাজানো বন্ধ করা, সামাজিক অনুষ্ঠানসহ দৈনন্দিন কাজে বাহুল্য শব্দ সৃষ্টি বন্ধ করা জরুরি।’
এ ছাড়া সভায় বিশেষজ্ঞ বক্তারা শ্রবণ সমস্যা কমাতে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ ও সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেন।
ইএনটি অ্যান্ড হেড-নেক ক্যানসার হাসপাতাল অ্যান্ড ইনস্টিটিউটের সভাপতি ও সাবেক সচিব সিদ্দিকুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন—ফাউন্ডেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. জাহানারা আলাউদ্দিন, সদস্যসচিব কামরুল হাসান তরফদার, বাংলাদেশ ইএনটি হাসপাতালের প্রফেসর মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, উত্তরা আধুনিক হাসপাতালের অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ খান ও হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ড. আলী ইমাম।