33 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
দুপুর ১:২৬ | ৭ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
সবেচেয়ে উষ্ণতম বছর ২০২৩
পরিবেশ ও জলবায়ু

সবেচেয়ে উষ্ণতম বছর ২০২৩

সবেচেয়ে উষ্ণতম বছর ২০২৩

গত ১ লাখ ২৫ হাজার বছরে এই প্রথম উষ্ণতম বছরের তকমা পেল ২০২৩ সাল।

বিজ্ঞানীদের দাবি, ​পৃথিবীর জন্মের পর এমন উষ্ণ হয়নি পৃথিবী। চলতি বছরে ঘটেছে একাধিক দাবানলের ঘটনা। আর এর প্রভাবে গত অক্টোবর মাসে পরিবর্তন এসেছে আবহাওয়ায়। এই সমস্ত দেখেই চলতি বছরে সবচেয়ে উষ্ণতম বছর হিসেবে চিহ্নিত করেছেন বিজ্ঞানীরা।

উষ্ণায়ন নিয়ে কয়েকদিন আগে দুবাইয়ে জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনে করা হয়েছিল উদ্বেগ প্রকাশ। এরপরেই উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ২০২৩ সালটা এখনও পর্যন্ত সবেচেয়ে উষ্ণতম বছর বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। পৃথিবীর জন্মের ১ লাখ ২৫ বছরের মধ্যে এত গরম আগে কখনও হয়নি বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।



পৃথিবীর জন্মের পর ২০২৩ সালকে সবেচেয়ে উষ্ণতম বছর বলে চিহ্নিত করেছেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিসের বিজ্ঞানীরা।

চলতি বছরে আর্জেন্টিনা, কানাডা সহ একাধিক স্থানে হয়েছে দাবানলের ঘটনা। আর এর প্রভাব পড়ে গত অক্টোবর মাসে আবহাওয়ায়। এই সময় যে উষ্ণতার পারদ রেকর্ড করা হয়েছিল, তা দেখেই চলতি বছরকে সবচেয়ে উষ্ণতম বছর হিসেবে চিহ্নিত করেছেন তারা।

কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিসের বিজ্ঞানীরা আরও জানিয়েছেন যে, ১৮৫০ থেকে ১৯০০ সালে মধ্যে অক্টোবরে যে উষ্ণতা ছিল, এবার তার থেকে উষ্ণতা বৃদ্ধি পেয়েছিল প্রায় ০.৪ ডিগ্রি।

অনেকের কাছে উষ্ণতার এই পার্থক্য মারাত্মক না মনে হলেও, আদতে এই তফাৎ আগামী দিনে বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীদের মতে, তাপমাত্রার এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধির পিছনে আছে গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন। এছাড়াও আছে এল নিনো। জলবায়ু পরিবর্তন ঘটাতে নিনো অনেক সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে বলে মনে করছেন তাঁরা।



বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ১৯৯১ সালের পর থেকে বিশ্বজুড়ে তাপমাত্রার পরিবর্তন হতে শুরু করেছিল। ২০২৩ সালে এই পরিবর্তন মারাত্মক আকার নেয় বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

জলবায়ু পরিবর্তনে এল নিনোর প্রভাব নিয়ে আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, আগামী দিনে এই এল নিনোর প্রভাবে পৃথিবীতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

এর ফলে খরার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে করেছেন উদ্বেগ প্রকাশ। এ ক্ষেত্রে ভারতে এর প্রভাব সবেচেয়ে বেশি হতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা।

খরার পাশাপাশি ভারতের কোনও কোনও অংশে ঠাণ্ডার পরিমাণ বাড়বে বলে দেওয়া হয়েছে ইঙ্গিত। এমন পরিস্থিতে সকলকে সচেতন হওয়ার জন্য বিজ্ঞানীদের তরফে দেওয়া হয়েছে পরামর্শ।

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত