সৈকতে ভেসে আসা বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে কক্সবাজারের পরিবেশ
শুক্রবার কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে দেখা যায়, একের পর এক ঢেউ আছড়ে পড়ছে উপকূলে। আর এসব ঢেউয়ের সঙ্গে আসছে নানা ধরনের বর্জ্য। এর মধ্যে রয়েছে ছোট ছোট গাছের টুকরা, বাঁশের শেকড়, পোড়া কাঠ ও খড়সহ নানা রকম প্লাস্টিক। এসব বর্জ্য এখনও পড়ে আছে সৈকতের বালিয়াড়িতে।
এ বিষয়ে সৈকতে জেলা প্রশাসনের নিয়োগ করা বিচকর্মী বেলাল হোসেন জানান, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা, সিগাল, লাবণী ও শৈবালসহ বিভিন্ন পয়েন্টে এসব বর্জ্য ভেসে আসছে। সেখানে ছোট্ট ছোট্ট গাছের টুকরা, বাঁশের শেকড়, পোড়া কাঠ ও খড় দেখা গেছে।
তিনি বলেন, ‘বর্জ্য ভেসে আসার পর জেলা প্রশাসনের পর্যটন শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. তামজীদুর রহমান তন্ময়ের নিদের্শনা মতে সৈকতের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা এসব বর্জ্য বালিয়াড়ি থেকে সরিয়ে নিচ্ছেন।’
সৈকতের পর্যটকরা জানান, বালিয়াড়িতে পড়ে থাকা বর্জ্যের কারণে চলাফেরা করতে সমস্যা হচ্ছে। একই সঙ্গে সৈকতের সৌন্দর্যহানির পাশাপাশি ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। তাই এসব বর্জ্য অপসারণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
এর আগে, ২০২৩ সালে মার্চ মাসেও টানা কয়েক দিন একই ধরনের বর্জ্য সৈকতে ভেসে এসেছিল। ওই সময় বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইন্সটিটিউটের (বোরি) দায়িত্বে থাকা মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ও সমুদ্রবিজ্ঞানী সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর জানিয়েছিলেন,
সমুদ্রে নিম্নচাপ, বায়ুপ্রবাহ, পানির ঘূর্ণায়ন (এডি), সমুদ্রের পানির গতি প্রবাহসহ সমুদ্র পৃষ্ঠের ধরনের ওপর ভিত্তি করে সমুদ্র উপকূলের নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় ভাসমান প্লাস্টিকসহ ও অন্যান্য বর্জ্য জমা হয়েছে।
এসব নিম্নচাপে জোয়ারের সময় সমুদ্রের উপরি পৃষ্ঠের পানি অতি মাত্রায় বেড়ে গিয়ে ফুলে ওঠে এবং ঘূর্ণনের ফলে সমুদ্রের ভাসমান বর্জ্য একসঙ্গে জমা হয়ে ভেসে আসে সৈকতে।