26 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
রাত ৪:৩১ | ১৩ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
৩০ শতাংশ দূষিত বায়ু আসে প্রতিবেশী দেশ থেকে: পরিবেশ উপদেষ্টা
পরিবেশ দূষণ

৩০ শতাংশ দূষিত বায়ু আসে প্রতিবেশী দেশ থেকে: পরিবেশ উপদেষ্টা

৩০ শতাংশ দূষিত বায়ু আসে প্রতিবেশী দেশ থেকে: পরিবেশ উপদেষ্টা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, আন্তসীমান্ত বায়ুদূষণ মোকাবিলায় কার্যকর আঞ্চলিক পদক্ষেপ নিতে হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে দূষিত বায়ুর ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে আসে। এ সমস্যার সমাধানে রাজনৈতিক আলোচনার গণ্ডি পেরিয়ে বাস্তব পদক্ষেপ ও আঞ্চলিক সহযোগিতা জরুরি।

উপদেষ্টা দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর কাঠমান্ডু রোডম্যাপ ও অন্যান্য সমঝোতার কথা উল্লেখ করে বলেন, এগুলো যথেষ্ট নয়। আরও জোরালো উদ্যোগ প্রয়োজন।

বুধবার (৯ এপ্রিল) ভোরে কলম্বিয়ার কার্টাগেনায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দ্বিতীয় বৈশ্বিক সম্মেলনের ফাঁকে এক আয়োজনে ঢাকা থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

ঢাকার আশপাশের এলাকাগুলোকে ‘ইটভাটামুক্ত এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করার পরিকল্পনার কথা জানান পরিবেশ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, এসব এলাকায় ইটভাটা স্থাপন নিষিদ্ধ থাকবে।

২০২৫ সালের মে মাস থেকে পুরোনো বাস ধাপে ধাপে তুলে দেওয়া হবে। পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে এটা বাস্তবায়ন করবে।

উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশের বহুমাত্রিক বায়ুদূষণ সমস্যা মোকাবিলায় বায়ুমান নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে, যা ডব্লিউএইচওর অন্তর্বর্তীকালীন লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই আইনি বিধিমালায় দূষণের জন্য দায়ী খাতগুলোর জন্য নির্দিষ্ট মানদণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের কাঠামো তৈরি করা হয়েছে।



সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আরও জানান, ২০২৪ সালে চূড়ান্ত হওয়া জাতীয় বায়ুমান ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার বাস্তবায়ন এত দিন রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পিছিয়ে ছিল।

এখন তা কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে। পরিকল্পনার লক্ষ্য হলো, মানুষের দূষণজনিত ঝুঁকি কমানো। পরিষ্কার বায়ুর দিন বৃদ্ধি করার মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা।

বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় বাংলাদেশ ক্লিন এয়ার প্রকল্প চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে উল্লেখ করে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, এটা সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে শিগগিরই বাস্তবায়ন শুরু হবে।

এ প্রকল্পের আওতায় নিয়ন্ত্রককাঠামো শক্তিশালী করা, আইন প্রয়োগ জোরদার করা, শিল্পকারখানায় দূষণ পর্যবেক্ষণব্যবস্থা সম্প্রসারণ এবং গণপরিবহন খাত আধুনিকায়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।

পরিবেশ উপদেষ্টা জানান, ধুলাবালু থেকে দূষণ রোধে ঢাকা শহরের খোলা সড়কগুলোয় সবুজায়নের উদ্যোগ এবং রাস্তা পরিষ্কারে আরও শ্রমিক নিয়োগ করা হবে।

অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ অভিযানের ফলে ইতিমধ্যে বায়ুমানের কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে এ অগ্রগতি ধরে রাখতে কঠোর নজরদারি ও খাতসমূহের আধুনিকায়ন জরুরি।

সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান আরও বলেন, ‘আমি আশাবাদী। কারণ, আমি বিশ্বাস করি, এ সমস্যার সমাধান সম্ভব। প্রযুক্তি ও বিকল্প ব্যবস্থা আমাদের হাতে রয়েছে। শুধু প্রতিশ্রুতি ও বাস্তবায়ন দরকার। বায়ুদূষণ শুধুই পরিবেশগত ইস্যু নয়। এটি মানবিক সংকট।’

সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মন্ত্রীপর্যায়ের প্রতিনিধি, পরিবেশ-জ্বালানি খাতের নীতিনির্ধারক, আন্তর্জাতিক ও উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি, গবেষক, স্থানীয় প্রশাসন, পরিবহন ও শিল্প খাতের বিশেষজ্ঞ এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত