জাইকার সঙ্গে পরিকেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়নে যৌথ সহযোগিতার প্রস্তাব বাংলাদেশের

বাংলাদেশ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান মিয়াজাকি কাতসুরারকে দেশের সকল বনভূমিগুলিকে ‘নেচার লার্নিং হাব’-এ রূপান্তরের প্রস্তাব দিয়েছেন। আজ গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে জাইকার নির্বাহী সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মিয়াজাকি কাতসুরার নেতৃত্বে জাপানি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে উপদেষ্টা এ প্রস্তাব দেন।
উপদেষ্টা বলেন, শহরের মানুষ, বিশেষ করে তরুণদের পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং জীববৈচিত্র্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে বন সংলগ্ন রিসোর্স সেন্টারগুলোকে শিক্ষণীয় কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা যেতে পারে। এ ছাড়াও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বন পর্যবেক্ষণকে উন্নত করা, সাফারি পার্ককে আন্তর্জাতিক মানে উন্নয়ন ও বাংলাদেশ ফরেস্ট ইন্ডাস্ট্রিজ ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন (বিএফআইডিসি) কে সংরক্ষণ রেখে পরিবেশবান্ধব আসবাব উৎপাদনে আধুনিকায়নের বিষয়েও জাইকার সহায়তা চান তিনি।
বৈঠকে উপদেষ্টা জাইকার নির্বাহী সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মিয়াজাকি কাতসুরারকে বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অগ্রসরমান রয়েছে। সরকারি দপ্তরগুলোতে সৌরবিদ্যুৎ সংযোগ সম্প্রসারনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন ও এর ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ’ গঠনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অর্থায়নের কার্যকর ব্যবস্থাপনা ও গতিশীল করা নিশ্চিত করা হবে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে একটি আলাদা ট্রাস্ট গঠনের প্রস্তাবও তিনি জাইকার কাছে তুলে ধরেন।
জাইকার ভাইস প্রেসিডেন্ট মিয়াজাকি কাতসুরা বলেন, বাংলাদেশ আত্মনির্ভরশীল উন্নয়নেরবর্মানে যে উদ্যোগ নিয়েছে, জাইকা পক্ষ থেকে েউহাকে সাধুবাদ জানায়। তিনি বাংলাদেশ সরকারের ‘জিরো দারিদ্র্য’ ও ‘জিরো বেকারত্ব’র লক্ষ অর্জনে জাইকার অব্যাহত সহযোগিতা চলমান রাখার আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশ বন, পরিবেশ এবং জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ ও মো. খায়রুল হাসান, প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসেন চৌধুরী, জাইকার দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের মহাপরিচালক ইয়ামাদা তেতসুয়া, বাংলাদেশ অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদে ও সিনিয়র রিপ্রেজেন্টেটিভ মিউরা মারি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ।