বিশ্ব পরিবেশ দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য ‘প্রকৃতির জন্য সময়’
পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রতি বছর ব্যাপক আকারে পালিত হয় বিশ্ব পরিবেশ দিবস। কিন্তু অন্যান্য সব বছরের মতো এবছর পরিবেশ দিবস সেরকম বড় পরিসরে পালিত হচ্ছে না।
আমরা এরই মধ্যে লক্ষ্য করেছি করোনা মহামারীর কারণে বিশ্বের বেশ কিছু দিবস অল্প পরিসরে ও ভার্চুয়াল মাধ্যমে পালিত হয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়িয়ে চলার জন্যই এবছর পরিবেশ দিবস সেভাবে পালত হচ্ছে না।
প্রতি বছর আমরা বিভিন্নভাবে আমাদের পরিবেশের ক্ষতি করে চলেছি। কেউ জেনে ক্ষতি করছি আবার কেউ সব কিছু জানার পরেও ক্ষতি করছি। কিন্তু আমাদের পরিবেশ আমাদেরই রক্ষা করতে হবে। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে না পারলে পৃথিবী একদিন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যাবে। আর তাই সকল বিষয় মাথায় রেখেই প্রতিবছর জন সচেতনতা বাড়ানোর জন্য পালন করা হয় পরিবেশ দিবস।
১৯৭২ সালে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) উদ্যোগে প্রতি বছর সারা বিশ্বে ৫ জুন ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়।
দিবসটি পালনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, পরিবেশ সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো। এ কারণে প্রতিবছরই ভিন্ন ভিন্ন প্রতিপাদ্যে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো ‘প্রকৃতির জন্য সময়’ (Time for Nature)। এর লক্ষ্য কীভাবে পৃথিবীর বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের বিকাশ করা যায়, সেই রূপ কাঠামো গঠন।

বিশ্বের অন্য সকল দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও পালিত হয় পরিবেশ দিবস। দেশের সরকারি ও বেসরকারি ভাবে দিবসটি পালিত হয়। গ্রহণ করা হয় বিভিন্ন কর্মসূচি। কিন্তু বর্তমান পরিবেশ পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় এবছর দিবসটি সেভাবে পালন করার কোনো সুযোগ নেই। এমনিতেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শিথিল করা হয়েছে লকডাউন।
স্বল্প পরিসরে খোলা হয়েছে সকল প্রতিষ্ঠান। ছাড়া হয়েছে যানবাহন। সব মিলিয়ে এবছর করোনার ফলে দিবসটি পালনের জন্য তেমন কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি সরকার। তবে হয়তো স্বল্প পরিসরে ভার্চুয়াল মাধ্যমে পালিত হবে বিশ্ব পরিবেশ দিবস।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এর মাধ্যমে জানা গেছে করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে এবছর আয়োজক দেশ হিসাবে জার্মানি ও কলম্বিয়া ভার্চুয়াল মাধ্যমেই বিশ্ব পরিবেশ দিবসের মূল আয়োজন করবে।