ডিএনসিসির রাস্তা ফুটপাতে লাগানো হবে গাছ: মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সব রাস্তা ও ফুটপাতে গাছ লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। রবিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মেয়র আনিসুল হক সড়কে ডিএনসিসি এলাকায় দুই লাখ গাছ লাগানোর কর্মসূচির উদ্বোধনকালে মেয়র এ কথা জানান।
এদিন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম গাছের চারা রোপণ করে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নগরবিদ ও স্থপতি ইকবাল হাবিব, নগর পরিকল্পনাবিদ আখতার হামিদ, গ্রিন সেভার্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান রনি, বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসাইন চৌধুরী।
উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মেয়র বলেন, ডিএনসিসি এলাকার সব রাস্তা ও ফুটপাতে গাছ লাগানো হবে। কোনও জায়গা খালি রাখতে চাই না। ফুটপাতে ছাতিম, বকুল, কাঠবাদাম, কৃষ্ণচূড়া, সোনালু।
সড়কের মিডিয়ানে কাঁটা মেহেদি, রংগন, করবী ও বাগানবিলাস, বামন জারুল, রসকাউ, খালের পাশে বিভিন্ন ধরনের ফলদ যেমন আম, জাম, কাঁঠাল এবং ঔষধি গাছ লাগানো হবে বলেও জানান মেয়র।
তিনি আরও বলেন, নগরে কোনও পাখি নাই। আমরা বন বিভাগের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে রসকাউ লাগাচ্ছি। রসকাউ ফলটা পাখিদের জন্য খুবই প্রিয়। ক্লিনিং, গ্রিনিং ও ফিডিং—এই তিনটিকে বিবেচনায় নিয়ে গাছ লাগানো হবে।
তিনি বলেন, ‘সবুজে বাস, বারো মাস’—এই স্লোগানের মাধ্যমে আমরা আজকে বৃক্ষরোপণ শুরু করলাম। আমি নগরবাসীকে আহ্বান করছি যার যার বাড়ির সামনে ফাঁকা জায়গায় গাছ লাগাবেন।
আমি রাজউকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। ‘প্রতিটি বাড়িতে এক কাঠায় অন্তত একটি গাছ’—এই উদ্যোগ যেন রাজউক অবিলম্বে বাস্তবায়ন করে।
লাগানো গাছকে লালনের জন্য এই প্রথমবারের মতো ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ১০০ জন মালি নিয়োগ দেবে জানিয়ে মেয়র বলেন, একেকজন মালিকে এক কিলোমিটারের দায়িত্ব দেওয়া হবে।
এক কিলোমিটারের মধ্যে যত গাছ আছে, সেসব গাছের রিপোর্ট তারা আমাদের দেবেন। আমরা একটি জিআইএস ম্যাপ তৈরি করেছি। যেটির মাধ্যমে জায়গা নির্বাচন, গাছ মনিটরিং এগুলো করা হবে।
মেয়র বলেন, গাছের বিষয়ে আমার ক্লিয়ার ম্যাসেজ। আমি বারবার বলেছি গাছ কাটলে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। সড়কের বিদ্যমান গাছগুলো না কেটেই উন্নয়নকাজ করার নির্দেশ দিয়েছি।
এ সময় ডিএনসিসির মেয়র আতিক সড়কের ও এর আশপাশে লাগানো গাছগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।
অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, ঢাকা সামাজিক বন অঞ্চলের বন সংরক্ষক আর এস এম মনিরুল ইসলাম, উপপ্রধান বন সংরক্ষক, মঈনুদ্দিন খান ও বন বিভাগের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, ডিএনসিসির কাউন্সিলররা, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা ও ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।