জলবায়ু ও বিদ্যুৎ সংকট সমাধান করবে ‘নবায়নযোগ্য শক্তি’
বাংলাদেশের উন্নয়নে জলবায়ু এবং বিদ্যুৎ সংকটের একমাত্র সমাধান ‘নবায়নযোগ্য শক্তি’ বলে জানিয়েছে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ। তবে প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও স্বাস্থ্য, জীবিকা এবং স্থানীয় বাস্তুতন্ত্রের মারাত্মক ক্ষতি করে এমন প্রকল্পে বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো।
শনিবার সকাল ১১টায় নারায়নগঞ্জে রিল্যায়ান্স গ্রুপের বিনিয়োগে নির্মাণাধীন মেঘনাঘাট বিদ্যুৎকেন্দ্রের সামনে এপিএমডিডি (এশিয়ান পিপল’স মুভমেন্ট ফর ডেট এন্ড ডেভেলপমেন্ট) এবং ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এর যৌথ উদ্যোগে এক প্রতীকী প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।
এশিয়ান পিপলস মুভমেন্ট অন ডেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এপিএমডিডি) এর সমন্বয়কারী এবং এশিয়ান এনার্জি নেটওয়ার্ক এর আহ্বায়ক লিডি ন্যাকপিল বলেন, ‘এই সংস্থাগুলো জীবাশ্ম জ্বালানী প্রকল্পগুলোতে নোংরা এবং মারাত্মক বিনিয়োগে পরিপূর্ণ যা স্বাস্থ্য, জীবিকা এবং স্থানীয় বাস্তুতন্ত্রের মারাত্মক ক্ষতি করে এবং বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত করে।
জলবায়ু সংকট সমাধানের জন্য দ্রুত বিশ্বব্যাপী শূন্য নির্গমনে পৌঁছানোর তাগিদ থাকা সত্ত্বেও এবং জলবায়ু লক্ষ্যগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য করার জন্য তাদের ঘোষিত প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও, তাদের নীতি ও ক্রিয়াকলাপে কোন মৌলিক পরিবর্তন হয়নি।
এই কোম্পানিগুলো যেহেতু তাদের শেয়ারহোল্ডারদের মুখোমুখি হয়, তাই আমরা তেল ও গ্যাস প্রকল্পে তাদের অর্থায়ন বন্ধ করার এবং হাইড্রোজেন এবং অ্যামোনিয়ার মতো জলবায়ু সংকটের মিথ্যা সমাধানের প্রচারের দাবিতে অঞ্চলব্যাপী প্রতিবাদের মাধ্যমে তাদের উপর চাপ বাড়াচ্ছি।’
ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন কার্যক্রম ভবিষ্যতেও গতিশীল এবং সমুন্নত রাখার জন্য বাংলাদেশের নীতিনির্ধারনী মহলকে জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে নবায়নযোগ্য শক্তির কথা ভাবতে হবে এবং এতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।’
২০১৫ সালের জলবায়ু সংক্রান্ত প্যারিস চুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকে, তিনটি মেগাব্যাংক জীবাশ্ম জ্বালানি শিল্পকে বিশ্বব্যাপী ৫৪৫.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিমাণে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে। এই পরিমাণের মধ্যে ১০০.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এশিয়ান জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্প এবং কোম্পানিগুলোতে গিয়েছে।