29 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
রাত ১:১০ | ২৬শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
দেশে নদ-নদী দখলের মহোৎসব চলছে
পরিবেশ দূষণ

দেশে নদ-নদী দখলের মহোৎসব চলছে

দেশে নদ-নদী দখলের মহোৎসব চলছে

দেশে নদ-নদী দখলের যে একটি মহোৎসব চলছে, তা স্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরীর বক্তব্যে। বৃহস্পতিবার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি যেসব তথ্য তুলে ধরেছেন, তা খুবই উদ্বেগজনক।

সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয়, নদী দখলের সঙ্গে সরকারের অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি ও বিভিন্ন সংস্থার জড়িত থাকার অভিযোগ। সেই সঙ্গে খোদ নৌ-মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে নদী রক্ষা কমিশনকে অকার্যকর বা নিষ্ক্রিয় করে রাখার অভিযোগ।

মেঘনায় বালু উত্তোলনকারীদের সঙ্গে একজন নারী মন্ত্রীর সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলে তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেছেন, হায়েনার দল থেকে নদীকে মুক্ত করতে পারছি না।

বন্যা ও ঝড়ের কারণে কোটি কোটি শিশু বাস্তুচ্যুত



জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়ার বিপর্যয়ে বন্যা, খরা, ঝড় ও দাবানলে ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ৪৩.১ মিলিয়ন শিশু বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এ বিষয় সতর্ক করে জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ শুক্রবার ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি মনোযোগ না দেওয়ার অভিযোগ করেছেন।

এ বিষয়ে একটি বিস্তারিত রিপোর্টে জাতিসংঘের এজেন্সি আক্রান্ত কিছু শিশুর হৃদয়বিদারক ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছে। রিপোর্টের সহলেখক লরা হিলি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ডেটা শুধুমাত্র ‘সামান্য অংশই’ প্রকাশ করেছে। যার মধ্যে আরও অনেক ক্ষতিগ্রস্তদের হিসাব উঠে আসেনি।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে ২০১৬ থেকে ২০২১ পর্যন্ত একের পর এক ক্রমবর্ধমান চার ধরনের জলবায়ু বিপর্যয় (বন্যা, ঝড়, খরা এবং দাবানল) ৪৪টি দেশে ৪৩.১ মিলিয়ন শিশু বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এই বাস্তুচ্যুতির ৯৫ শতাংশ বন্যা ও ঝড়ের কারণে।

লরা হিলি বলেন, ‘এটি প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার শিশু বাস্তুচ্যুত হওয়ার সমতুল্য।’



কীভাবে প্রভাবিত শিশুরা তাদের পিতামাতার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া বা শিশু পাচারকারীদের শিকার হওয়ার মতো অন্যান্য আঘাতের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে তা এই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

তিনি বলেছেন, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীকে লিজের নামে টুকরো টুকরো করে বিক্রি করছে নৌ-মন্ত্রণালয়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন। এখন এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। চট্টগ্রামে নদীর জমিতে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলেছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। সেখানে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানের এসব অভিযোগ থেকে এটা স্পষ্ট যে, সরকারি সংস্থাগুলো এ কমিশনের কার্যক্রমে কোনো সহযোগিতা তো করছেই না, উলটো নদী দখলে ইন্ধন জোগাচ্ছে।

একটি অপরাধ বলে মনে করি আমরা। আদালতের রায় অনুযায়ী জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান হলেন নদীর অভিভাবক।

প্রত্যেক ব্যক্তি ও প্রতিটি সংস্থার উচিত নদী রক্ষায় তাকে সহযোগিতা করা। কিন্তু তা করা হচ্ছে না। বরং যারা কমিশনকে সহযোগিতা করছে, তাদের শাস্তিমূলক বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। অথচ আমরা জানি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময়ে নদী দখলমুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।



দেশের বেশিরভাগ নদীর অবস্থা ভালো নেই। অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ছে অনেক নদী। বহু নদী হারিয়ে গেছে। দখল-দূষণের কারণে বেশিরভাগ নদনদী এখন মৃতপ্রায়।

নদীর ধারে গড়ে উঠেছে বড় বড় কলকারখানা। যারা যেভাবে পারছে, সেভাবেই নদীকে ব্যবহার করছে। নদী ভরাট করে দখলে মেতে উঠেছে অনেকে।

বাংলাদেশ যে একটি নদীমাতৃক দেশ-এ কথা বলার আর কোনো উপায় নেই এখন। এদেশ এখন নদী বৈরী দেশে পরিণত হয়েছে যেন। পৃথিবীর কোথাও এমন নজির নেই।

দেশে নদী দখলের উৎসব আর চলতে দেওয়া যায় না। নিজেদের স্বার্থেই নদী রক্ষা করতে হবে। বাঁচাতে হবে সব নদী। নদীর সঠিক পরিচর্যা করতে হবে। ড্রেজিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।

বস্তুত নদী বাঁচাতে দেশের প্রত্যেক মানুষকেই সচেতন হতে হবে। নদী বাংলাদেশের প্রাণ। কাজেই দেশের প্রাণশক্তি রক্ষা করতে হলে নদী দখল বন্ধ এবং নদী দূষণ রোধ করতেই হবে।

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত