২ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশ সচিবালয়ে নিষিদ্ধ হচ্ছে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক
আগামী ২ অক্টোবর ২০২৫ থেকে বাংলাদেশ সচিবালয়ে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক (সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক) পণ্যের ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হবে। এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আবদুর রশীদ।
এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার আগে, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসজুড়ে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রস্তুতির সময় দেওয়া হবে। এ সময় তাদের প্লাস্টিক ব্যবহার কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে।
এই ঘোষণা দেওয়া হয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনারে। সেমিনারের শিরোনাম ছিল: “সাসটেইনেবল প্লাস্টিক ইউজ ইন দ্য সেক্রেটারিয়েট: আ ফিউচার ফর সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ফ্রি এনভায়রনমেন্ট”। এই সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আবদুর রশীদ।
তিনি বলেন, প্লাস্টিক দূষণ একটি বিশ্বব্যাপী সমস্যা, এবং এটি মোকাবেলায় বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করতে হবে। একইসঙ্গে মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনাও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করেই এখন থেকেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদ বলেন, সচিবালয়ে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করতে মন্ত্রণালয় দ্রুত একটি বাস্তবসম্মত কর্মপরিকল্পনা তৈরি ও বাস্তবায়ন করবে।
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন অর্থ বিভাগের সচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম এবং জাতিসংঘের শিল্প উন্নয়ন সংস্থার (UNIDO) প্রতিনিধি জাকি উজ জামান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ফাহমিদা খানম।
সরকার ইতোমধ্যেই ১৭ ধরনের সামগ্রীকে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এসবের মধ্যে রয়েছে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের প্লেট, কাপ, চামচ, চকলেটের মোড়ক, প্লাস্টিকের দাওয়াত কার্ড ও ব্যানার, পাতলা প্লাস্টিক মোড়ক, প্লাস্টিক বোতল ও ক্যাপ।
এই নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়িত হলে সচিবালয় হবে দেশের প্রথম সরকারি কার্যালয় যেখানে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা হবে। এটি পরিবেশ রক্ষার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।