পরিবেশ রক্ষায় পাহাড় কর্তন বন্ধ করতে হবে
পরিবেশগত অপরাধ নিয়ে ভাবতে হবে‘পাহাড় কর্তন: সমস্যা ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সাইন্সেস-এর অধ্যাপক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন।
‘জীবন, প্রকৃতি ও প্রজন্মের বেঁচে থাকার স্বার্থে পাহাড়কে রক্ষা করতে হবে। কক্সবাজারে রোহিঙ্গারা যে হারে পাহাড় নিধন করেছে, তাতে করে পরিবেশের ভারসাম্য কতটুকু রক্ষা হবে তা নিয়ে এখনই চিন্তা করা দরকার। পরিবেশ নষ্ট বা পরিবেশের ক্ষতি করা অপরাধ। পাহাড় কাটা, নদী-খাল দূষণ করা, পরিবেশ-প্রকৃতিকে বিরক্ত ও বিনষ্ট করা সবই বড় অপরাধ,’ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সাইন্সেস-এর অধ্যাপক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন রবিবার এক সেমিনারে এ কথা বলেন।
‘পাহাড় কর্তন: সমস্যা ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে অধ্যাপক মোশাররফ আরো বলেন, ‘পরিবেশগত অপরাধ নিয়ে এখনই আমাদের ভাবতে হবে। সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। জীবন, প্রকৃতি ও প্রজন্মের বেঁচে থাকার স্বার্থে পাহাড়কে রক্ষা করতে হবে। কক্সবাজারে রোহিঙ্গারা যে হারে পাহাড় নিধন করেছে, তাতে করে পরিবেশের ভারসাম্য কতটুকু রক্ষা হবে তা নিয়ে এখনই চিন্তা করা দরকার।’
সেমিনারের মুখ্য আলোচক জাফর আলম বলেন, ‘পরিবেশের সব বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষ পরিবেশ অধিদপ্তরকেই সব সময় কাঠগড়ায় দাঁড় করায়। কিন্তু পরিবেশের অনেক শাখা-প্রশাখা আছে। প্রতিটি শাখাকেই রক্ষা করা পরিবেশের জন্য জরুরি। তাই পাহাড়, জলাশয়, খাল-বিল, নদী এসব রক্ষা করতে হবে আমাদের স্বার্থেই, সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসেই।’
চবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘সমাজ ও পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে নিয়েই দেশ। দেশের প্রতিটি মানুষই পরিবেশের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। পরিবেশ নষ্ট বা খারাপ হলে নির্দিষ্ট একজনের ক্ষতি হয় না। বরং পরিবার-সমাজের সবার জন্য তা ক্ষতিকর। তাই আমাদের প্রত্যেককেই পরিবেশবাদী হতে হবে। কেবল পরিবেশ অধিদপ্তর কিংবা একজন পরিবেশবিদ পরিবেশের জন্য ভাববে, তা মোটেও নয়।’
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরী। উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) জাফর আলম, চবির অধ্যাপক, চট্টগ্রাম ওয়াসা, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বিভাগসহ বিভিন্ন সেবা সংস্থার প্রতিনিধি ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।