সেন্টমার্টিন রক্ষায় পরিবেশ বিরোধী কিছুই করা যাবে না
সেন্টমার্টিনে পরিবেশ বিরোধী কিছুই করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. সোলায়মান হায়দার। তিনি বলেছেন, দ্বীপের প্রকৃতি ও পরিবেশ দেখতেই পর্যটকরা ভ্রমণে আসেন। আর এসেই সেই প্রকৃতি ও পরিবেশ ধব্বংস করবেন। তা হতে দেওয়া যাবে না।
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে সেন্টমার্টিনে ‘সেন্টমার্টিন: পরিবেশ সংরক্ষণ ও টেকসই অর্থনীতি’ শীর্ষক এক কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দ্বীপের পরিবেশ ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে প্রাণ-আরএফএল এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এই কর্মসূচিটি গ্রহণ করেছে।
এই কর্মসূচির উদ্বোধনকালে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষা এবং জীববৈচিত্র্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এমন উদ্যোগে এগিয়ে এলে সেন্টমার্টিনের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকার পরিবেশ রক্ষা করা সম্ভব হবে।’
প্রধান লক্ষ্য ও উদ্যোগ
এই কর্মসূচির মাধ্যমে সেন্টমার্টিনের পরিবেশ রক্ষায় নেওয়া হবে একাধিক উদ্যোগ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বর্জ্য সংগ্রহ ও রিসাইক্লিং, দ্বীপে উৎপন্ন প্লাস্টিকসহ অন্যান্য বর্জ্য সংগ্রহ করে তা রিসাইক্লিংয়ের জন্য প্রসেসিং প্ল্যান্টে পাঠানো হবে।
সুপেয় পানির ব্যবস্থা: দ্বীপে সুপেয় পানির সংকট নিরসনে রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং পদ্ধতি চালু করা হবে।
বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম: পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় দ্বীপজুড়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পরিচালিত হবে।
স্থানীয় অর্থনীতি উন্নয়ন:স্থানীয় জেলেদের সংগৃহীত সামুদ্রিক মাছ ও শুঁটকি প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের রিটেইল চেইন শপে ‘সেন্টমার্টিন এক্সক্লুসিভ’ নামে বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে।
জনসচেতনতা বৃদ্ধি: দ্বীপের বাসিন্দা ও পর্যটকদের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা তৈরি করতে বিভিন্ন প্রচারণা চালানো হবে।
বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক চায় ভারত: বিক্রম মিশ্রিবাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক চায় ভারত: বিক্রম মিশ্রি পরিবেশ দূষণ রোধে বিচ ক্লিনিং কার্যক্রম উদ্বোধনী দিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন ছিল ‘বিচ ক্লিনিং’ কার্যক্রম।
রবিবার সকাল থেকেই প্রাণ-আরএফএল এবং মাই সেন্টমার্টিনের সহযোগিতায় স্থানীয় বাসিন্দা, পর্যটক এবং স্বেচ্ছাসেবকরা সৈকত পরিষ্কারের কাজে অংশ নেন। জাহাজঘাট থেকে দ্বীপের পশ্চিম উপকূল পর্যন্ত সৈকতে পড়ে থাকা প্লাস্টিক ও অন্যান্য বর্জ্য পরিষ্কার করা হয়।
বিচ ক্লিনিং কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘পর্যটকদের অসচেতনতার কারণে সৈকত প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে। আমাদের সচেতন হওয়া দরকার।’
পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. সোলায়মান হায়দার বলেন, ‘বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এই ধরনের কার্যক্রম অত্যন্ত জরুরি।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের হেড অব কর্পোরেট ব্র্যান্ড নুরুল আফসার, হেড অব সাসটেইনেবিলিটি সুমাইয়া তাবাসসম আহমেদ, ইউএনডিপির ডেটা অ্যানালিটিকস কর্মকর্তা আহমেদ উল্লাহ কবিরসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।