পাথরকোয়ারির ইজারা বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিলে অসন্তোষ পরিবেশবাদীরা
সিলেটসহ সারা দেশের গেজেটভুক্ত পাথরকোয়ারিগুলোর ইজারা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব (অপারেশন-৩ শাখা) সাবরিনা আফরিন মুস্তাফা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
তবে পাথরকোয়ারির ইজারা বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে সরকারের সংশ্লিষ্টদের সরে আসায় অসন্তোষ জানিয়েছেন পরিবেশবাদীরা। তাঁদের আশঙ্কা, ইজারা প্রথা আবার চালু হলে কোয়ারি ও আশপাশের এলাকায় প্রাণ ও প্রকৃতির ব্যাপক ক্ষতি হবে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক শাহ সাহেদা আখতার বলেন, ‘এটা রীতিমতো আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। পরিবেশ, জনস্বার্থ ও প্রকৃতি রক্ষার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা উচিত।
এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি কোনোভাবেই সঠিক হয়নি। আমরা দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভালো কিছু আশা করছি। কিন্তু পরিবেশবিরোধী এমন সিদ্ধান্ত দুঃখজনক।’
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, সারা দেশের গেজেটভুক্ত পাথরকোয়ারি, সিলিকা বালুকোয়ারি, নুড়িপাথর, সাদা মাটি উত্তোলনসহ অন্যান্য সব কোয়ারির ইজারা আপাতত বন্ধ থাকবে মর্মে গৃহীত সিদ্ধান্তটি বাতিল করা হলো।
এর আগে ২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সিলেটসহ সারা দেশের গেজেটভুক্ত পাথরকোয়ারি থেকে পাথর, বালু, মাটিসহ সব কোয়ারির ইজারা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল।
এর পর থেকে এসব কোয়ারিতে পাথর, বালু ও মাটি উত্তোলন সরকারিভাবে নিষিদ্ধ ছিল। তবে অনেকে তখন স্থানীয় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন অব্যাহত রেখেছিলেন।
বিশেষ করে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর টানা এক মাস প্রকাশ্যে সিলেটের পাথরকোয়ারি থেকে পাথর ও বালু লুট করা হয়।
বৃহস্পতিবার জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের জারি করা পত্রটির অনুলিপি দেশের সব বিভাগীয় কমিশনার এবং সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, নীলফামারী, পঞ্চগড় ও নেত্রকোনার জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে।