33 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
বিকাল ৫:১৬ | ১২ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
শব্দ দূষণের ফলে ৬৮ ভাগ ড্রাইভার কানে শোনে না: পরিবেশ উপদেষ্টা
পরিবেশ দূষণ

শব্দ দূষণের ফলে ৬৮ ভাগ ড্রাইভার কানে শোনে না: পরিবেশ উপদেষ্টা

শব্দ দূষণের ফলে ৬৮ ভাগ ড্রাইভার কানে শোনে না: পরিবেশ উপদেষ্টা

শব্দ ও বায়ু দূষণে বাংলাদেশ এক নম্বরে। এ দেশের শতকরা ৬৮ ভাগ বাস বা ট্রাকের চালক কানে শোনেন না। এমন মন্তব্য করে ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শুরু হওয়া যেখানে সেখানে হর্ন দেওয়া বন্ধের ক্যাম্পেইনে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা চেয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘ঢাকা শহরের মতো এত আওয়াজের শহর পৃথিবীতে আর কোথাও নেই। শব্দ দূষণ ও বায়ু দূষণে আমরা এক নম্বর।

বাংলাদেশের বাস বা ট্রাকের ৬৮ ভাগ ড্রাইভার কানে শোনে না। এখন আপনি সফল, আপনি ব্যর্থ এইটা বলার চাইতে আমরা যদি এটাকে জাতিগত প্রাধিকার মনে করতাম এবং সামষ্টিক কাজ মনে করি। তাহলে আমার মনে হয়, সফলতাটা খুব দূরে থাকবে না।’

রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে পলিথিন, পলিপ্রোপাইলিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার বন্ধের কার্যক্রমে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে অংশগ্রহণকারীদের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘পলিথিন বন্ধের কাজ ২০০২ সাল থেকে শুরু হয়েছে। এরপর যখন ২০২৪ সালে আমরা আবার কাজটি শুরু করলাম।

অনেকেই আমাদের উৎসাহ দিচ্ছেন, অনেকেই আবার মনে করছেন, কাজটি কেন এক্ষুনি হয়ে যাচ্ছে না। একটু অধৈর্য হয়ে যাচ্ছেন। অনেক নেতিবাচক কথা আমাদের শুনতে হয়। এটি কোনো সমস্যা নয়।’

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে সৈয়দা রিজওয়ানা বলেন, ‘তোমরা দেখনি, আমরা দেখেছি, আমাদের বাবাদের পাটের চটের ব্যাগ নিয়ে বাজারে যেতে। বাংলাদেশে একটি তর্ক শুরু হয়ে গেছে যে বিকল্প নেই। এটি ঠিক না।

প্রথাগতভাবেই পলিথিনের বিকল্প বহুকাল আগে থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। আমদের বাবারা যেটা নিয়ে বাজার করতে গেছেন, সেটিই আমাদের বিকল্প।’

সবাই সচেতন হলে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করা সম্ভব উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘পলিথিন উৎপাদন শ্রমিকেরা মানবেতর পরিবেশে কাজ করলেও তা নিয়ে সোচ্চার নয় পলিথিন কারখানার মালিকেরা।

তাঁদের স্বার্থে আঘাত লাগছে বলেই পলিথিন নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপে তাঁরা সমালোচনা করছেন। পলিথিন ব্যবহারে সবাইকে মানা করার আগে, নিজেদের এর ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।’

শিক্ষার্থীদের নেতিবাচক সমালোচনায় কান না দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘এর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। কারণ তাঁদের (পলিথিন কারখানা মালিক) একটি ন্যস্ত স্বার্থ আছে।

আমরা যখন পলিথিন উৎপাদন বন্ধ করতে যাচ্ছি, তখন সব জায়গায় না, কোথাও কোথাও বাধার সম্মুখীন হচ্ছি। পলিথিন ঢাকায় উৎপাদন করে অন্যান্য শহরে যাতে না যায়, ওসি ট্রাফিকের সঙ্গে আলোচনা করেছি। এ কাজগুলো আমাদের করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু পলিথিন শপিং ব্যাগ নিয়ে কাজ শুরু করেছি। এটি সবার স্বার্থে বন্ধ করতে হবে। না হলে আমরা আমাদের মাটি, নদী, লেক, বাঁচাতে পারব না।’

পলিথিন বন্ধে ব্যক্তিগত উদ্যোগের একটি দৃষ্টান্ত দিতে গিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘বাজারে পলিথিন ব্যাগ দিলে আপনি নেবেন না। বলবেন, আমি বাসা থেকে ব্যাগ নিয়ে এসেছি। সেটিও তো প্রয়োগের একটি রাস্তা হতে পারে।’

অনুষ্ঠানে রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল, সেন্ট জোসেফ হাইয়ার সেকেন্ডারি স্কুল, বনানী বিদ্যা নিকেতন, এসওএস হারমান মেইনার, হলিক্রস, ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ মোট টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদ বিতরণ করা হয়।

পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (দূষণ নিয়ন্ত্রণ) তপন কুমার বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত