নিঝুম দ্বীপের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশের কর্মশালা
নিঝুম দ্বীপের বাস্তুতন্ত্র ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে টেকসই পরিকল্পনা ও জলবায়ু অভিযোজন কৌশল তৈরিতে কমিউনিটি এবং স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে দিনব্যাপী এক কর্মশালার আয়োজন করেছে ‘অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশ’।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হাতিয়া উপজেলার দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থায় কমিউনিটি ও স্টেকহোল্ডারদের অংশগ্রহণে সক্ষমতা বৃদ্ধি বিষয়ক স্থানীয় পর্যায়ের এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে স্থানীয় বাসিন্দা,আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা অক্সফ্যামের প্রতিনিধি, বনবিভাগের কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিতে থাকা নিঝুম দ্বীপের পরিবেশ ও জলবায়ু কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনা করেন।
এসময় জীববৈচিত্র্য কর্মকর্তা, উপকূলীয় বনবিভাগ, নোয়াখালী মো. ইব্রাহিম খলিল, হাতিয়া দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রফিকুল আলম, জাহাজমারা রেঞ্জ কর্মকর্তা এসএম সাইফুর রহমান, হাতিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. ফিরোজ উদ্দিন, দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মরত এহসানুল করিম সোহেল, মো. দুলাল উদ্দিন, তামজিদ হোসেন, মেফতাহ উদ্দিন বাক্কু, সাংবাদিক ইফতেখার হোসেন তুহিন, ইসমাইল হোসেন কিরন, ছায়েদ আহমেদ ও নিঝুম দ্বীপে বসবাসরত বিভিন্ন নারী-পুরুষ আলোচনায় অংশ নেন।
আলোচকরা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অপরিকল্পিত বাস্তুতন্ত্র ব্যবস্থাপনার কারণে উপকূলীয় এ অঞ্চলটি মারাত্মক ঝুঁকির মুখে রয়েছে।
নিঝুম দ্বীপের জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও এখানকার বসবাসরত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীগুলো, যারা জলবায়ু পরিবর্তনে খুব সামান্যই ভূমিকা রাখে, তাদের জীবন-জীবিকা এবং অর্থনৈতিক সুযোগ- সুবিধা প্রতি বছরই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
এছাড়া বনবিভাগের নামীয় চরাঞ্চল ভূমি অফিস ভিন্ন ভিন্ন নামকরণ করে বিভিন্ন সময়ে বন্দোবস্ত দেওয়ায় নিঝুম দ্বীপ জাতীয় উদ্যানের অবর্ননীয় ক্ষতির ফলে পরিবেশের বিরূপ প্রভাবের কথাও তুলে ধরে আলোচকরা বলেন বনবিভাগের সাথে ভূমি বিভাগের সাংঘর্ষিক সিদ্ধান্ত পরিহার করে দ্রুত নিঝুম দ্বীপ জাতীয় উদ্যানের সীমানা চিহ্নিত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা অক্সফ্যাম দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে কাজ করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে অক্সফ্যাম সরকার ও অন্যান্য উন্নয়ন সংগঠনের সঙ্গে যৌথভাবে দরিদ্র নারী, পুরুষ ও বিপদাপন্ন জনগোষ্ঠীর জলবায়ু পরিবর্তন প্রক্রিয়ায় অভিযোজন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক উন্নতি, কৃষি সেবা ও সম্পদে দরিদ্র মানুষের প্রবেশগম্যতা নিশ্চিতকরণসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে।