জলবায়ু ক্ষতি অনুযায়ী পর্যাপ্ত অর্থ মিলছে না: পরিবেশ উপদেষ্টা
কার্বন নিঃসরণ কমছে না। সেই সঙ্গে নতুন নতুন দেশ যোগ হচ্ছে। কিন্তু ক্ষতি অনুযায়ী অর্থ আসছে না। সে জন্য জলবায়ু অর্থায়নে আরও নতুন দেশকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি বাংলাদেশ সমর্থন করে।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার দি ওয়েস্টিন হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া: জলবায়ু নীতি ও সবুজ জ্বালানি রূপান্তর’ শীর্ষক সংলাপে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
জলবায়ু উপদেষ্টা বলেন, উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর উদ্দেশ্য এক নয়। কেউ কেউ ভোগবাদী জীবনযাত্রা টিকিয়ে রাখতে চায়, আর কেউ দারিদ্র্য দূরীকরণে কাজ করছে। এ ক্ষেত্রে স্বচ্ছ জলবায়ু অর্থায়নের আহ্বান জানাই। তহবিলঝুঁকি ও প্রবেশাধিকার বাধার বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, জলবায়ু অর্থায়নের সংজ্ঞা স্পষ্ট হওয়া দরকার। এটি এমনভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে, যাতে বিভিন্ন ধরনের সহায়তাও এর অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে, যা সঠিক নয়।
পরিবেশ ও জলবায়ু উপদেষ্টা বলেন, যেসব দেশ অতীতে বেশি কার্বন নিঃসরণ করেছে, তাদের বড় দায়িত্ব রয়েছে। তবে কিছু উন্নয়নশীল দেশও এখন বড় দূষক। তাদেরও অবদান রাখা উচিত।
তবে এমন কোনো অবস্থান নেওয়া যাবে না, যা গুরুত্বপূর্ণ জলবায়ু তহবিলের ঝুঁকি বাড়াবে। আবার জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসা অনেক দেশের জন্য কঠিন হতে পারে।
অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ার জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক দূত ক্রিস্টিন টিলি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অস্ট্রেলিয়া সহযোগিতা বাড়াতে চায়। অভিযোজন প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ নেতৃত্ব দিচ্ছে। তবে আন্তর্জাতিক আলোচনায় দেশের অবস্থান আরও শক্তিশালী হওয়া উচিত।
জলবায়ু অর্থায়নের ক্ষেত্রে প্রকল্প গ্রহণের চেয়ে কাঠামোগত পরিবর্তনে জোর দেওয়া জরুরি। জাতিসংঘের কাঠামো ধরে রাখা জরুরি হলেও বিকল্প পথ নিয়ে ভাবতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইএফআইসি) ভুটান ও নেপালের কান্ট্রি ম্যানেজার মার্টিন হটম্যান, সিপিডির গবেষণা ফেলো ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম প্রমুখ।