জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পানিতে কম নামছে কুমির
কুমিরের আচরণ ও আবাসস্থলের বেশ পরিবর্তন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। কুমির মূলত ইক্টোথার্মিক বা ঠান্ডা রক্তের প্রাণী। আর তাই কুমির নিজের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে বাহ্যিক পরিবেশের ওপর নির্ভর করে থাকে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কুমিরের শরীরের ওপর চাপ তৈরি হচ্ছে।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে নদীর পানির তাপমাত্রা বাড়ছে। এতে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন মোহনায় থাকা কুমির পানিতে কম ডুব দিচ্ছে। শুধু তা–ই নয়, শরীরের রক্ত গরম করতে বেশি পরিশ্রমও করতে হচ্ছে না কুমিরগুলোকে।
কারেন্ট বায়োলজি সাময়িকীতে প্রকাশিত সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ২০০৮ সাল থেকে কুমিরের শরীরের তাপমাত্রা শূন্য দশমিক ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে।
এ ছাড়া চারপাশের তাপমাত্রা বাড়ার কারণে কুমির গুরুতর তাপীয় সীমার কাছাকাছি তাপমাত্রা অনুভব করছে। এসব কুমির সাধারণত উষ্ণ জলবায়ুতে রোদে শুয়ে বা পানিতে বেড়ে ওঠে। কিন্তু বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়ার কারণে তাদের শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।
বিজ্ঞানী ক্যাটলিন বারহাম বলেন, গরমের কারণে কুমির ভালোই বিপাকে আছে। তাপমাত্রা বাড়ার কারণে কুমিরের বিপাক ক্রিয়ার গতি বেড়েছে। এর অর্থ, বেশি অক্সিজেন ব্যবহার করছে কুমির।
গবেষণায় দেখা গেছে, বর্তমানে কুমির শ্বাস বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারে না। এতে কুমিরের প্রজনন ভবিষ্যতে প্রভাবিত হতে পারে।
দীর্ঘায়িত তাপ কুমিরের শারীরিক চাপ ও শক্তির সংরক্ষণকে বাধা দেয়। জলবায়ু পরিবর্তনের এ ধারা চলতে থাকলে কুমির শরীরকে ঠান্ডা করতে নতুন আবাস খুঁজতে বাধ্য হবে।