জঙ্গলকে বাঁচাতে কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি সুভাষ দত্তের
পরিকল্পিত ভাবে মেরে ফেলা হচ্ছে সোনাঝুরি জঙ্গলের গাছ। বন দপ্তরের চোখের সামনেই সেখানে গাছ কাটা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই সঙ্গে কোনও আইন এবং নিয়ম না মেনে সেখানে তৈরি হচ্ছে হোটেল এবং রেস্তরাঁ।
ফলে নষ্ট হচ্ছে সেখানকার পরিবেশ। এই কারণে সোনাঝুরি জঙ্গলকে বাঁচাতে পরিবেশ আদালত ও সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত। মঙ্গলবার, শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি জঙ্গল এবং হাট ঘুরে দেখে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
প্রায় দুই দশক আগে সোনাঝুরি জঙ্গলে শুরু হয়েছিল সাপ্তাহিক হাট। সেখানে এসে জিনিসপত্র এবং শিল্প সামগ্রী বিক্রি করতেন স্থানীয়রা। এখন সেখানে প্রতিদিনই পসরা সাজিয়ে বসছেন তাঁরা। সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা।
এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে গড়ে উঠছে হোটেল এবং রেস্তরাঁ। সব কিছুই হচ্ছে বন দপ্তরের নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বলে অভিযোগ। জঙ্গলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয় সেই রকম কাজ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ।
মঙ্গলবার সোনাঝুরির জঙ্গল পরিদর্শন করে এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সুভাষ দত্ত। শান্তিনিকেতনের বিভিন্ন এলাকার মতোই সোনাঝুরি জঙ্গলেও রমরমিয়ে নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁর।
সেখানে একের পর এক গাছ মেরে ফেলা হচ্ছে বলেও অভিযোগ। সেই সেই গাছ কেটে আসবাবপত্র বানানো হচ্ছে এবং রান্না করা হচ্ছে। পরিবেশ নষ্ট করে কাঠের জ্বালানি দিয়ে রান্না করে টুরিস্টদের আকর্ষণ করার বিষয়টি বন্ধ হওয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি।
সোনাঝুরির হাট প্রসঙ্গে সুভাষ দত্ত বলেন, ‘বন আইন অনুযায়ী, জঙ্গলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয় সেই রকম কোনও কাজ এখানে করা যাবে না। কিন্তু দিনের পর দিন তা হচ্ছে। জঞ্জালের স্তুপে পরিণত হচ্ছে সোনাঝুরি। এর সঙ্গে জঙ্গলের কি সম্পর্ক আছে?’
তাঁর দাবি, এখনও এই অনাচার বন্ধ করা না হলে আগামী প্রজন্ম ইতিহাসের বইয়ের পাতায় সোনাঝুরির জঙ্গল দেখতে পাবেন। সেই কারণে ওই জঙ্গলকে বাঁচাতে পরিবেশ আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। এর পরে সুপ্রিম কোর্টেও যাবে বলেও জানিয়েছেন সুভাষ দত্ত।
তবে তাঁর এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বোলপুর এলাকার রেঞ্জার জ্যোতিষ বর্মন। জ্যোতিষ বর্মন জানান, সুভাষ দত্ত কী বলেছেন তা তিনি জানেন না। তবে, সোনাঝুরি জঙ্গলকে রক্ষা করার জন্য যা পদক্ষেপ করার তা করা হচ্ছে।