অবৈধভাবে সি-ফুট রপ্তানিতে ‘হিউম্যান ট্র্যাফিকিং’ যোগ
পরিবেশগত অপরাধের গভীরতা ক্রমশ বাড়ছে, যেখানে অবৈধভাবে সামুদ্রিক খাদ্য (Illegal Seafood) রপ্তানি করার নেটওয়ার্কের সঙ্গে মানব পাচার (Human Trafficking) ও শ্রমিক শোষণের মতো গুরুতর মানবাধিকার অপরাধের যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া গেছে।
থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য উপকূলীয় অঞ্চলের কিছু গোপন ‘সি-ফুট’ (Seafood) প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র এবং মাছ ধরার নৌকায় এই ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি রিপোর্ট করেছে।
পাচারকারীরা প্রায়শই দরিদ্র অভিবাসী শ্রমিকদের কম বেতনে, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এবং দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করতে বাধ্য করে। এই শ্রমিকরা অবৈধভাবে সংগৃহীত বা নিষিদ্ধ প্রজাতির মাছ, চিংড়ি এবং অন্যান্য সামুদ্রিক সম্পদ প্রক্রিয়াজাত করে, যা পরে জাল শংসাপত্রের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করানো হয়।
ইউএন ইন্টার-এজেন্সি টাস্ক ফোর্স অন ক্ৰাইম অ্যান্ড জাস্টিস (UNTOC)-এর এক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অবৈধ মাছ ধরার কার্যক্রমগুলি থেকে অর্জিত বিলিয়ন ডলারের মুনাফা প্রায়শই মানব পাচার এবং মাদক ব্যবসার মতো অন্যান্য সংগঠিত অপরাধে বিনিয়োগ করা হয়।
এই পরিস্থিতি একদিকে সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রকে দুর্বল করছে (অবৈধ মাছ ধরার কারণে), অন্যদিকে শ্রমিকদের মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। বিশ্বের প্রধান আমদানিকারক দেশগুলি, যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন, এখন তাদের আমদানি নীতিতে কেবল পরিবেশগত মানদণ্ডই নয়, বরং শ্রমিক অধিকার এবং নৈতিক সোর্সিং-এর উপরও কঠোর নজরদারি শুরু করেছে।
এটি প্রমাণ করে যে, টেকসই পরিবেশের জন্য লড়াই কেবল বন্যপ্রাণী রক্ষার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি ন্যায়সঙ্গত অর্থনৈতিক এবং শ্রম অনুশীলনের উপরও নির্ভরশীল।
