30 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
রাত ৮:১৯ | ১৫ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের অর্থ আদায়ে সোচ্চার হওয়ার দাবি উঠেছে কপ-২৭ সম্মেলনে
জলবায়ু

উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের অর্থ আদায়ে সোচ্চার হওয়ার দাবি উঠেছে কপ-২৭ সম্মেলনে

উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের অর্থ আদায়ে সোচ্চার হওয়ার দাবি উঠেছে কপ-২৭ সম্মেলনে

মিসরে রোববার শুরু হয়েছে জাতিসংঘ আয়োজিত জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সম্মেলন কপ-২৭। বিশ্বনেতারা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় করণীয় নিয়ে আলোচনা করছেন।

এবারের আলোচনায় উন্নত দেশগুলোর কাছে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে প্রতিশ্রুত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি প্রাধান্য পাবে। তবে বিশ্লেষণে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত দেশগুলো ক্ষতিপূরণ হিসেবে যে অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সেখান থেকে তারা অনেক পিছিয়ে আছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম প্রধান কারণ কার্বন নিঃসরণ। যেসব দেশে কার্বন নিঃসরণ বেশি হয়, সেসব দেশ কম কার্বন নিঃসরণ করেও ক্ষতির মুখে পড়া দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।



জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় ক্ষতিপূরণের এ অর্থ গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এসব দেশ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। তাই এবারের কপ-২৭ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত এসব দেশের পক্ষ থেকে উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের অর্থ আদায়ে সোচ্চার হওয়ার দাবি উঠেছে।

উন্নত দেশগুলো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ২০২০ সালের মধ্যে প্রতিবছর জলবায়ু পরিবর্তন ক্ষতিপূরণ তহবিলে ১০০ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করা হবে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা যুক্তরাষ্ট্রের—বছরে ৪০ বিলিয়ন ডলার।

কিন্তু ২০২০ সালে দেশটি মাত্র ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে। গত বছরের এ হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না। অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা তাদের প্রতিশ্রুত অর্থের মাত্র তিন ভাগের এক ভাগ দিয়েছে। এদিকে যুক্তরাজ্যও এখনো এক-তৃতীয়াংশ অর্থ ছাড় করেনি।

এবারের জলবায়ু সম্মেলনেও ক্ষতিপূরণ বিষয়টি নিয়ে অগ্রগতির তেমন কোনো আশা দেখা যাচ্ছে না। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পৃথিবীতে যে জরুরি পরিস্থিতি চলছে, তার পেছনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর দায় সামান্যই।



তবে ধনী দেশগুলোর তহবিল বরাদ্দের মাধ্যমে বৈশ্বিক এ সংকট মোকাবিলায় সব দেশের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে একটা আস্থার সম্পর্ক তৈরি হবে। ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর টিকে থাকা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ার বিষয়টি ধনী দেশগুলো মেনে নিয়েছে। সংকট মোকাবিলায় প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম অর্থ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা পূরণ করছে না তারা।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে আবহাওয়া বিরূপ আচরণ করছে। বৈশ্বিক তাপমাত্রাও বাড়ছে। কার্বন নিঃসরণ কমানো ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকিতে থাকা লোকজনকে বাঁচাতে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ধনী দেশগুলো ১০০ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।

যদিও এ অঙ্ক প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। কিন্তু ধনী দেশগুলো প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অর্থ বরাদ্দ করছে না। এতে এ সংকট মোকাবিলার বিষয়ে তেমন অগ্রগতি নেই।

গত সপ্তাহে এ বিষয়ে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেসব প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কতটা ঝুঁকির মুখে আছে বিশ্ব।

বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে আটকে রাখার যে সিদ্ধান্তে সব দেশ একমত হয়েছিল, সে বিষয়ে বিশ্বাস করার মতো কোনো অগ্রগতি এখনো হয়নি। গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের কথাতেও সংকটের বিষয়টি উঠে এসেছে।



গুতেরেস বলেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে কোটি কোটি মানুষকে বাঁচানোর জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতে এ খাতে বিশ্বের বিনিয়োগ আরও অনেক বাড়াতে হবে।’

এদিকে পরিস্থিতি দিন দিন আরও জটিল হয়ে উঠছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কিছু প্রভাব এতটা গুরুতর পর্যায়ে চলে গেছে, এখন কোনো পদক্ষেপ নিয়ে তা ঠেকানো যাবে না বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এখন দুর্যোগের কবলে পড়লে ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলার জন্য অর্থও চাইবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো।

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত