জীববৈচিত্র্যের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় কাজ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, মানবস্বাস্থ্য, প্রাণী, গবাদিপশু এবং জীববৈচিত্র্যের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করা হচ্ছে। উদ্ভাবনী ও টেকসই সমাধানের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) রাজধানীর পরিবেশ অধিদফতরে অনুষ্ঠিত ‘স্বাস্থ্যের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের সমাধান খুঁজে বের করার’ লক্ষ্যে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্যের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে গভীর অন্তর্দৃষ্টি রয়েছে এমন নেতৃস্থানীয় বিশেষজ্ঞ, কর্মকর্তা এবং স্টেক হোল্ডারদের কাছ থেকে জানার জন্য সরকার এ ধরনের সেশনের আয়োজন করছে।
এই চ্যালেঞ্জগুলোকে কার্যকরভাবে মোকাবিলার জন্য আমাদের নীতি এবং কৌশল গঠনে তাদের জ্ঞান এবং দক্ষতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আমাদের জাতির এবং তার বাইরের জন্য আরও টেকসই ভবিষ্যতের পথ তৈরি করবে এখান থেকে পাওয়া ধারণা এবং প্রতিশ্রুতিগুলো।’
তিনি বলেন, ‘প্রাণীদের স্বাস্থ্য ও মঙ্গলের জন্য আমাদের অবশ্যই সমন্বিত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কারণ, তাদের টিকে থাকার ওপর মানবের টিকে থাকা ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত।’
মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন বাস্তুতন্ত্রকে ব্যাহত করে, জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি করে এবং বায়ু, পানি ও মাটির গুণমানকে প্রভাবিত করে দূষণের মাত্রা আরও খারাপ করে। এর ফলে, মানুষের স্বাস্থ্য এবং সমস্ত জীবের স্বাস্থ্যের ওপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়ে। আমাদের পরিবেশের স্বাস্থ্য সরাসরি আমাদের নিজেদের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী।
সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক এবং গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের ভাইস-প্রেসিডেন্ট বন্দনা শাহ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।