দিল্লির বাতাসে মারাত্মক বায়ুদূষণ ছুঁয়ে ফেলেছে
লাগাতার তৃতীয় দিন দিল্লির বাতাস বিষাক্ত! রাজধানীর চিকিৎসকদের বক্তব্য, শহরের বায়ুদূষণ মারাত্মক পর্যায় ছুঁয়ে ফেলেছে। শ্বাসগ্রহণে শারীরিক ক্ষতির সম্ভাবনা ২৫-৩০টি সিগারেট পানের সমান।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার সকালের রাজধানীর বাতাসের গুণগত মান (AQI) ছিল ৫০৪। স্বাস্থ্যকর মানের (০-৫০) তুলনায় যা অনেক বেশি। এর ফলেই এদিনও ধোঁয়াশায় চাদরে ঢাকা ছিল দিল্লি।
দিল্লির দূষণ নিয়ে একদিকে যখন নেতা-মন্ত্রীদের দায় ঠেলাঠেলি শুরু হয়েছে, অন্যদিকে উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা।
মেদান্তা হাসপাতালের চিকিৎসক অরবিন্দ কুমার বলেন, শিশু ও বৃদ্ধরা তো বটেই, মাত্রাছাড়া দূষণে বড় ক্ষতি হচ্ছে গর্ভস্থ শিশুদের। মায়ের শ্বাসের মাধ্যমে বিষাক্ত বাতাস পৌঁছে যাচ্ছে গর্ভে থাকা শিশুর ফুসফুসে।
তা প্রবাহিত হচ্ছে রক্তে। এর ফল ভয়ংকর হতে পারে। অকাল প্রসবের সম্ভাবনা-সহ নানা ক্ষতি হতে পারে শিশুর। এই পরিস্থিতিতে দিল্লিবাসীকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
এদিকে দিল্লি পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাইয়ের দাবি, শুধু দিল্লি নয়, গোটা উত্তর ভারত দুষণে সমস্যায় ভুগছে। এর জন্য পড়শি রাজ্য উত্তরপ্রদেশ এবং হরিয়ানাকে দায়ী করেছেন তিনি।
গোপালের দাবি, দিল্লির দূষণের জন্য ৬৯ শতাংশ দায়ী প্রতিবেশী রাজ্যগুলি। দিল্লির দূষণের প্রশ্নে কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রীর সদিচ্ছা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন গোপাল।
এদিকে বায়ুদূষণ ঠেকাতে সক্রিয় হয়েছে দিল্লি পুরনিগম। এই বিষয়ে নজরদারি চালাতে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে ৫২টি দল গঠন করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে। পূর্ত দপ্তর ৬০টি ধোঁয়াশা প্রতিরোধী কামান ব্যবহার করছে। যদিও ভয়াবহ দূষণ ঠেকানো যাচ্ছে না তাতে।