বিশ্ব মাণচিত্রে করোণা ভাইরাস ( কোবিড – ১৯) এ আক্রান্ত রোগী এবং মারা যাওয়ার চিত্র
করোণা (কোবিড – ১৯) ভাইরাস উৎিপত্তি চীনের হুবি প্রদেশের রাজধানী উলান শহরে এবং সেখান হতে ই দ্রুত সারা বিশ্বে ছড়িয়ি পড়ছে।
Coronavirus updates
নীচে দেশগুলোতে এর বিস্তাররের চিত্র প্রদত্ত হলো;-
এ প্রাণ ঘাতক ভাইরাসে চীনের মূল ভূ-খন্ডেই আক্রান্তের সংখ্যা বেশী হলেও বর্তমানে প্রায় সকল দেশ আক্রান্ত হয়েছে অধিক মৃত্যু বরণ করেছে এবং করছে ।
নীচে ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আমেরিকায় এ প্রাণ ঘাতক ভাইরাসের বিস্তার এর বিস্তাররের চিত্র প্রদত্ত হলো;
কিভাবে সারা পৃথিবীতে প্রাণ ঘাতক ভাইরাসটি ছড়িয়েছে তা বিশ্ব মানচিত্রে দেখানো হল:- দেশসমূহে লাল ফোটায় নতুন আক্রান্ত এবং ছায়াবৃত ফোটায় প্রথম আক্রান্ত দেখানো হ’ল
২২ জানুয়ারী, ঐ দিনের আক্রান্তের ঘটনা ৫৫৫, মোট আক্রান্তের ঘটনা ৫৫৫ টি নতুন আক্রান্ত দেশ – চায়না, থাইল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, যুক্তরাষ্ট্র, মেকিউ। | ২৬ জানুয়ারী, ঐ দিনের আক্রান্তের ঘটনা ৬৮৪, মোট আক্রান্তের ঘটনা ২,১১৮ টি। নতুন আক্রান্ত দেশ – কানাডা এবং আস্টেলিয়া। | ৩১ জানুয়ারী, ঐ দিনের আক্রান্তের ঘটনা ১,৬৯৩, মোট আক্রান্তের ঘটনা ৯,৯২৭ টি। নতুন আক্রান্ত দেশ – ইটালী, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া এবং সুইডেন। |
১৯ ফ্রেরুয়ারী, ঐ দিনের আক্রান্তের ঘটনা ৬,৫১৭, মোট আক্রান্তের ঘটনা ৬৬,৮৮৭ টি। নতুন আক্রান্ত দেশ – ইরাণ | ২৬ ফ্রেরুয়ারী, ঐ দিনের আক্রান্তের ঘটনা ৯৮২, মোট আক্রান্তের ঘটনা ৮১,৩৯৭ টি। নতুন আক্রান্ত দেশ – পাকিস্তান, ব্রাজিল, জর্জিয়া, গ্রীস, উত্তর মেসিডোনিয়া, নরওয়ে এবং রুমানিয়া। | ৩ মার্চ, ঐ দিনের আক্রান্তের ঘটনা ২,৫৩৫, মোট আক্রান্তের ঘটনা ৯২,৮৪৪ টি। নতুন আক্রান্ত দেশ – আর্জেন্টেনিয়া, চিলি, জর্ডান এবং ইউক্রেণ। |
৫ মার্চ, ঐ দিনের আক্রান্তের ঘটনা ২,৭৬২, মোট আক্রান্তের ঘটনা ৯৭,৮৮৬ টি। নতুন আক্রান্ত দেশ – পেলেস্টাইন, বসেনিয়া এবং হারজেগিভিয়া, স্লোভেনিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। | ৬ মার্চ, ঐ দিনের আক্রান্তের ঘটনা ৩,৯১৪, মোট আক্রান্তের ঘটনা ১,০১,৭৯৯ টি। নতুন আক্রান্ত দেশ – ভূটান, ক্যামেরূন, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, পেরু, সার্বিয়া, স্লোভাকিয়া, টোগো এবং ভ্যাটিক্যান সিটি। | ৭ মার্চ, ঐ দিনের আক্রান্তের ঘটনা ৪০৩৭, মোট আক্রান্তের ঘটনা ১,০৫,৮৩৬ টি। নতুন আক্রান্ত দেশ – গুয়েনা ও মাল্টা। |
গত ডিসেম্বরে এই শ্বাসযন্ত্রে আক্রান্তের ভাইরাসটি দেখা দেয়ার পর হতে বিশ্বব্যাপী দ্রুত ছড়াচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে যে, উলানের পশু-পাখির একটি বাজার হতে এই ভাইরাসটি ছড়িয়েছে। হংকয়ের স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের মতে এ ভাইরাসটি যদি নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, তবে ইহায় বিশ্বের মোট জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ আক্রান্ত হবে।
সারা বিশ্বে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া অনেকই সুস্থ্য হয়েছে। কোবিড – ১৯ যেহেতু ভাইরাস জনিত রোগ, তাই এ ভাইরাস জনিত জ্বরে রোগীকে এন্টিবায়োটিক বা এন্টিভাইরাল ঔষধ প্রয়োগ করা যাবে না। রোগী সুস্থ্য হওয়া নির্ভর করে তার দেহে ইমুনো সিসটেম (Immune system) কতটুকু শক্তিশালী এবং এ পর্যন্ত যারা মারা গেছে তারা দূর্বল স্বাস্থ্যের অধিকারী ছিল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) কর্তৃক এ ভাইরাস এর সংক্রোমণ হতে রক্ষায় যে সকল সাধারণ সর্তকতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে তা অনুসরণ করলেই এ ভাইরাস হতে মুক্তি পাওয়া যাবে (সর্তকতা সমূহ এ পোর্টালের অন্য লেখায় দেয়া আছে আথবা WHO এর ওয়েভ পেইজ এ দেয়া আছে)।
বিশ্বব্যাপি এ পর্যন্ত কোবিড – ১৯ আক্রান্ত এর ঘটনা, মৃত্যু ও সুস্থ্য হওয়া রোগীর পরিসংখ্যান:
Source: The Guardian