সবাই মিলে একসঙ্গে জলবায়ু সমস্যা মোকাবেলা করতে হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় আমাদের সম্পদের অভাব রয়েছে। এটি সারা বিশ্বের সমস্যা। আমাদেরও সমস্যা। বিশ্বে এসব ক্ষেত্রে যারা কাজ করছে তাদের সঙ্গে আমরা আছি। আমাদের কাজ হয়তো যথেষ্ট নয়। আমাদের সম্পদের অভাব আছে।’
গতকাল বিকালে ঢাকা ডকল্যাব ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের যৌথ উদ্যোগে ‘শর্ট ফিল্মস অন ওয়াটার’ শীর্ষক জলবায়ু বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘এ নিয়ে বিশ্বে নানা ধরনের শীর্ষ সম্মেলন হয়েছে। বড় রাষ্ট্র যাদের সম্পদ বেশি তারা কথা দিয়েছিল, আমাদের মতো দেশ যাদের সম্পদ কম তাদের সরাসরি অর্থ দেবে। কিন্তু দুর্ভাগ্য সেটা হয়ে ওঠেনি।
এটা বার বার মনে করিয়ে দিতে হবে। তারা যেন তাদের দায়িত্ব পালন করে। কারণ পরিবেশের যে দূষণ হয় তারাই প্রধানত দায়ী। তারা নানা উপায়ে শিল্প-কারখানা গড়ে তুলেছে। শিল্প উৎপাদনে আমরা তেমন কিছু করি না, মোটামুটি প্রাথমিক পর্যায়েই আছি। সবাই মিলে একসঙ্গে জলবায়ু সমস্যা মোকাবেলা করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের প্রোগ্রামস ডিরেক্টর ডেভিড নক্স এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে ঢাকা ডকল্যাবের পরিচালক তারেক আহমেদ বলেন, ‘এ বছরটা একটা ক্রান্তিকালই বলব। মুদ্রাস্ফীতি, অর্থনৈতিক চাপ। নীরব ঘাতক জলবায়ু পরিবর্তন। আমরা অনেকেই এর গুরুত্ব দিচ্ছি না।
বৈশ্বিক উষ্ণতা এত বাড়ছে, যার ভিকটিম আমরা। বড় বড় দানব আমাদের গিলে ফেলার চেষ্টা করছে। জলবায়ু পরিবর্তনের মতো দৈত্য আমাদের গিলে খাচ্ছে।’
ডেভিড নক্স বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় সবাইকে নিয়ে একজোট হয়ে কাজ করাই আমাদের লক্ষ্য। এ থেকে উত্তরণে কার্যকর পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে কাজ করার আশা ব্যক্ত করছি।’
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘গত শতাব্দীর শেষ দশকে আমরা এইডস মোকাবেলা করেছি। নাটক, অভিনয় দিয়ে মোকাবেলা করেছি। বাংলাদেশে এইডস বিস্তার লাভ করেনি।
বৈশ্বিক তাপমাত্রা যেভাবে বাড়ছে, ২০৫০ সালে যে তাপমাত্রা হওয়ার কথা ছিল সেটা ২০৪০ সালে আসবে। ১০ বছর এগিয়ে এসেছে। বৃষ্টি নেই। তাপমাত্রা বাড়ছে।’
ঢাকা ডকল্যাবের চেয়ারম্যান নাসিরুদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু বলেন, ‘মানিকগঞ্জে যখন যাই কালি নদী পার হলে মন খারাপ হয়। নদীর পানি কালো হয়ে গেছে। নবীনগর হয়ে ধামরাই গেলে দেখা যাবে পানি কালো হয়ে গেছে, মাছ বলতে কিছু নেই, আম হয় না এখন। এখন প্রচুর বৃষ্টি হওয়ার কথা কিন্তু হচ্ছে না কেন? জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য।
যেখানে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনে এমন পরিস্থিতির শিকার হচ্ছে আমরা কেন ডোর টু ডোর যাব না? শিল্পপতিদেরও বলতে হবে তাদের সন্তানরাও এর ভুক্তভোগী হবে।’