সেন্ট মার্টিনে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
রোববার কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে কমিটির ৩৭তম সভায় এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সদস্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, রেজাউল করিম বাবলু এবং খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন বৈঠকে অংশ নেন।
পরিবেশগত ঝুঁকিতে থাকা সেন্ট মার্টিনকে মেরিন প্রোটেক্টেড এরিয়া (এমপিএ) ঘোষণা করা হলেও টেকনাফ থেকে নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে সেখানে অবৈধভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে স্থাপনা। ২০২০ সালে যেখানে দ্বীপে ছোট-বড় ১২৩টি আবাসিক হোটেল ও কটেজ ছিল, এখন সেই সংখ্যা পৌঁছেছে দুইশর কাছাকাছি।
এর আগে বিভিন্ন সময়ে সেখানে অভিযান চালিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করা হলেও অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ থেমে থাকেনি।
সংসদ সচিবালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বাংলাদেশ রাবার শিল্প বিকাশের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা, বন বিভাগের জমি রাবার চাষের জন্য লিজ দেওয়ার উদ্দেশ্য কতটুকু সফল হয়েছে, বনবিভাগসহ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট অংশী প্রতিষ্ঠানগুলের হালনাগাদ জরিমানার হার, পরিবেশ অধিদপ্তর গঠিত প্লাস্টিক/পলিথিনজাত পণ্য ও মোড়কের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা কারিগরি ওয়ার্কিং কমিটির কার্যক্রম এবং বন সংরক্ষণ আইন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বৈঠকে রাবার শিল্পের উন্নয়নে মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা কিংবা ভারত থেকে উন্নত প্রজাতির রাবার চারা সংগ্রহ করার যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।
একই সঙ্গে দেশে উৎপাদিত রাবার বিক্রির ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বিদেশ থেকে রাবার আমদানির ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ ভ্যাট দেওয়ার বৈষম্য দূরীকরণে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে কমিটি মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে।