বন্য প্রাণি হোক আর গৃহপালিত প্রাণি হোক বিস্ফোরক খাওয়ানোর মাধ্যমে মারার ঘটনা স্তম্ভিত মানুষকে। সম্প্রতি একটি হাতিকে বিস্ফোরক খাওয়ানোর মাধ্যমে মেরে ফেলার একটি ঘটনা ঘটেছে। আর ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্য কেরালাতে।
বিস্ফোরকপূর্ণ আনারস খেয়ে ৩ দিন দাঁড়িয়ে থেকে গক ২৭ মে মৃত্যু হয় অন্তঃসত্ত্বা হাতিটির । তবে কে বা কারা আনারসের সাথে বিস্ফোরক দিয়ে ছিল এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে এ বিষেয়ে একটি মামলা হয়েছে। পালাক্কাড় এলাকার সাইলেন্ট ভ্যালি নাশনাল পার্কের বন্যপ্রাণী বিভাগের ওয়ার্ডেন স্যামুয়েল ওয়াচা জানিয়েছেন, এ ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে এবং জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।

১৪ থেকে ১৫ বছরের অন্তঃসত্ত্বা হাতির মৃত্যুর ঘটনায় তৈরি হয়েছে তীব্র সমালোচনাও। একই সাথে মারাত্মক এই ঘটনা স্থানীয়দের স্তম্ভিত করেছে ।
প্রকৃত পক্ষে ঘটনাটি প্রকাশ পায় একটি ফেসবুকে দেয়া একটি পোস্টের মাধ্যমে। ঘটনাটি নিয়ে ফেসবুকে আবেগঘন পোস্ট করেন বন বিভাগের র্যাপিড রেসপন্স টিমের একজন ফরেস্ট অফিসার মোহন কৃষ্ণান। আর তার পরেই ঘটনাটি সম্পর্কে মানুষ জানতে পারে। তিনি তার পোস্টে লিখেন, আহত হওয়ার পরও হাতিটি কাউকে আঘাত না করে গ্রাম ছেড়ে চলে যায়। একই সাথে তিনি আরো লিখেন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ছবিগুলোতে হাতিটির কষ্টের প্রতিফলন হয় না।
হাতিটি আহত অবস্থায় এক নাগাড়ে টানা ৩ দিন পানির মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিল। যাদিও হাতিটিকে মেডিকেল সেবা দেয়ার চেষ্টা হয় কিন্তু সেখান থেকে হাতিটিকে সরানো সম্ভব হয়েছিলো না। তিনদিন ধরে হাতিটির মুখ এবং শুঁড় পানির নীচেই ছিল। হাতিটিকে বন বিভাগ প্রথম লক্ষ্য করে ২৫ মে।
ওয়ার্ডেন স্যামুয়েল ওয়াচা জানান, “হাতিটি কোথায় আহত হয়েছিল তা আমরা জানতে পারিনি। পানির নীচে থেকে সে পানি খাচ্ছিল, যা সম্ভবত তাকে কিছুটা আরাম দিচ্ছিল।” তবে “হাতিটির চোয়ালের দুই পাশই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তার দাঁতও ভেঙে গেছে।”
বিস্ফোরকপূর্ণ আনারস খায়ানোর জন্যই যে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে সেই বিষয়ে জানা যায় মূলত মরদেহ ময়নাতদন্তের পর। সূত্র: বিবিসি