সরকারি বরাদ্দের যথাযথ ব্যবহার করে পরিবেশ রক্ষা করতে হবে
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জাতীয় উন্নয়নে পরিবেশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে প্রতিযোগিতামূলকভাবে কাজ করতে হবে। সরকারি বরাদ্দের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করে পরিবেশের সুরক্ষা ও বৃক্ষরোপণ করতে হবে।
বুধবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির অগ্রগতি পর্যালোচনা সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ইতিবাচক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে কাজের গুণগত মান রক্ষা করে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে। প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান কর্মজীবনে প্রয়োগ করে জনসেবা নিশ্চিত করতে হবে।
এসময় মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্ত দপ্তর ও সংস্থার প্রকল্প পরিচালক ও উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণের ফলাফলের ভিত্তিতে মেধাস্থান অধিকারী কর্মকর্তাদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে বন সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক ও কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রথম পুরস্কার গ্রহণ করেন বন অধিদপ্তরের সুফল প্রকল্পের পরিচালক গোবিন্দ রায়।
দ্বিতীয় পুরস্কার পান বগুড়া সার্কেলের বন সংরক্ষক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম ও সিলেটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা তৌফিকুল ইসলাম। তৃতীয় স্থান দখল করেন উপমন্ত্রীর একান্ত সচিব মো. আবু নাসার উদ্দিন ও বন অধিদপ্তরের সহকারী প্রধান বন সংরক্ষক ডক্টর মরিয়ম আক্তার।
পরিবেশ সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক ও কর্মকর্তাদের দ্বিতীয় ব্যাচে প্রথম পুরস্কার পান পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এ কে এম রফিকুল ইসলাম ও মো. হাসান হাসিবুর রহমান।
দ্বিতীয় স্থান দখল করেন উপপরিচালক মো. ইলিয়াস মাহমুদ। তৃতীয় স্থান অধিকার করেন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ইসরাত সাদমীন, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মাহমুদ হাসান ও সহকারী পরিচালক জাওয়াতা আফনান। পুরস্কারপ্রাপ্তদের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন সংক্রান্ত মহামূল্যবান বই ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
এসময় মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব ডক্টর ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ফাহমিদা খানম, অতিরিক্ত সচিব মো. মিজানুর রহমান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডক্টর আবদুল হামিদ এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান, প্রকল্প পরিচালক এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।