জলবায়ুর বিরুপ প্রভাবে প্রত্যাশিত মাছ মিলছে না হাকালুকি হাওরে, হুমকির মুখে মৎস পরিবেশ
দেশের সবচেয়ে বড় হাওর হাকালুকিতে ভরা মৌসুমেও আশানুরুপ মাছ পাচ্ছেন না জেলেরা। এবছর বৃষ্টি দেরিতে হওয়ায় বৈশাখ মাসের শেষে পানি না এসে প্রায় দেড় মাস পর পানি এসেছিলো হাওরে।
এতে স্বাভাবিক প্রজনন মৌসুমের অনেক পরে মা মাছ পোনা ছেড়েছে। ফলে জালে যেসব মাছ ধরা পড়ছে তা আকারে বেশ ছোট, পরিমাণেও কম।
মৌলভীবাজার ও সিলেট জেলার ৬টি উপজেলার প্রায় ১৮১ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত হাকালুকি হাওর। প্রতিবছর বৈশাখ মাসের শেষে এই হাওরে পানি আসে। কিন্তু সময়মতো বৃষ্টি না হওয়ায় এবছর হাওরে পানি এসেছিলো আষাঢ়ের শুরুতে।
প্রায় দেড় মাস দেরিতে হাওরে পানি আসায় স্বাভাবিক প্রজনন মৌসুমে পোনা ছাড়তে পারেনি মাছ। আকারে বেড়ে উঠার সময় কম হওয়ায় এখন জালে ধরা পড়ছে বেশ ছোট আকারের মাছ।
দেরিতে পানি আসার কারণে হাওরে এবছর জলজ উদ্ভিদও কমে গেছে। তাই মাছের আশ্রয় যেমন কমেছে, তেমনি খাদ্যের পরিমাণও কমেছে। এর ফলশ্রুতিতে মাছের পরিমাণ কমেছে, আকারও হচ্ছে ছোট। এতে হতাশ জেলেরা।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, হাওরে এ বছর মাছ আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ১৫ থেকে ১৮ হাজার মেট্টিক টন। আরও একমাস ভরা পানি পেলে লক্ষ্য পূরণ হবে বলে আশাবাদী তারা।
বিশাল এই হাওরে একসময় শতাধিক দেশি প্রজাতির মাছ পাওয়া যেত। তবে জলবায়ু পরিবর্তন আর মানুষের বিরূপ আচরণে জীব বৈচিত্র্যে ভরপুর হাকালুকি হাওরে দিন দিন কমছে মাছ।