তরুণদের জলবায়ু অভিযোজনে সম্পৃক্ত করতে ইউনিসেফের সঙ্গে বাংলাদেশ কাজ করবে :সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জলবায়ু অভিযোজন কার্যক্রমে সমন্বয়, তরুণদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত জরুরি। তিনি বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ অন্যান্য সংস্থার বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মানে ও পানি সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের পরিবীক্ষণ ব্যবস্থায় তরুণদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তিনি আরো বলেন। একইরূপ পয়ঃনিষ্কাশন ও চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ইনসিনারেশনের বিকল্প হিসেবে উন্নত নিরাপদ প্রযুক্তির ও ব্যবহারিক সমাধানে মনোযোগী হতে হবে।
ইনসিনারেশন হল একটি বর্জ্য পরিশোধন প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে উচ্চ তাপমাত্রায় বর্জ্য পদার্থের দহন, আয়তন হ্রাস এবং সম্ভাব্য শক্তি পুনরুদ্ধার করার একটি প্রক্রিয়া। এটি তাপীয় পরিশোধনের একটি রূপ যা পৌরসভার কঠিন বর্জ্য এবং বিপজ্জনক পদার্থসহ বিভিন্ন ধরণের বর্জ্যের জন্য ব্যবহার করা হয়।
০১ জুলাই’২০২৫ তারিখে বাংলাদেশ সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে ইউনিসেফ বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ রানা ফ্লাওয়ার্স-এর নেতৃত্বে সাক্ষাতকালে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে উপদেষ্টা এসকল বিষয়ে কথা বলেন। বৈঠকে শিক্ষা, সামাজিক খাত ও তরুণদের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় দু’দেশের জোরদারের জন্য যৌথ উদ্যোগ ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
বৈঠকে শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবগুলি যেমন বন্যা, অপুষ্টি ও শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যাহত হওয়া উল্লেখ করে রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, ইউনিসেফ জলবায়ু সমাধানের কেন্দ্রবিন্দুতে তরুণদের রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বিভিন্ন জেলায় তরুণদের নিয়ে পরামর্শ সভা আয়োজনের পরিসর বাড়ানোর প্রস্তাব পদান করেন এবং নিয়মিতভাবে মন্ত্রণালয়ের সাথে তরুণদের যোগাযোগের জন্য একটি কাঠামোগত ব্যবস্থাপনা তৈরি করার আহ্বান জানান।
ইউনিসেফ একটি যৌথ ডকুমেন্টারি সিরিজ নির্মাণের প্রস্তাব দেয়, যার মাধ্যমে শিশু ও তরুনদের পরিবেশ সচেতনতা তৈরির অংশ হিসেবে পরিবেশবান্ধব বার্তা স্থান পাবে। উপদেষ্টা এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানান এবং বলেন, বিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে এটি অন্তর্ভুক্ত করা যায় এবং শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করাও সম্ভব হবে।
বৈঠকে ইউনিসেফ ও বন, পরিবশ ও জলবায়ু পরিবর্তণ মন্ত্রণালয় যৌথভাবে পরিবেশ শিক্ষাভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা এবং স্থানীয় পর্যায়ে জলবায়ু উদ্যোগ পরিচালনার বিষয়ে একমত হয়। পরিকল্পনায় বর্জ্য পূনর্ব্যবহার, বর্জ্য পৃথকীকরণ এবং তরুনদের নেতৃত্বে জরুরি প্রস্তুতির কার্যক্রমও অন্তর্ভুক্ত যাবে।
পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও ইউনিসেফ উভয় পক্ষই জলবায়ুবান্ধব নেতৃত্ব গড়ে তোলার এবং দেশের টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতেকরার জন্য পারস্পরিক সহযোগিতা আরও জোরদারের শক্তিশালী আশাবাদ ব্যক্ত করে।