জলবায়ু সংকটে মানসিক স্বাস্থ্যের নতুন থেরাপি : জলবায়ু সংকটে তরুণদের জন্য নতুন ‘সাস্টেইনেবিলিটি থেরাপি’
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত উদ্বেগ এবং হতাশা, যা ‘ইকো-অ্যাংজাইটি’ (Eco-Anxiety) নামে পরিচিত, বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে একটি ক্রমবর্ধমান মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা। এই সমস্যা মোকাবিলায় মনোবিজ্ঞানীরা এখন প্রচলিত থেরাপির পাশাপাশি ‘সাস্টেইনেবিলিটি থেরাপি’ (Sustainability Therapy) নামে একটি নতুন এবং উদ্ভাবনী পদ্ধতি নিয়ে আসছেন, যা মন এবং পরিবেশের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে।
এই থেরাপিটি মূলত দু’টি প্রধান ধারণার উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত: প্রথমত, প্রাকৃতিক পরিবেশে বা প্রকৃতির সাথে যুক্ত কার্যক্রমে (যেমন নগর উদ্যান তৈরি, স্থানীয় পরিবেশ আন্দোলনে অংশ নেওয়া) সময় কাটানো।
দ্বিতীয়ত, জলবায়ু সংকটের মতো বিশাল সমস্যার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে মানুষের ক্ষমতাহীনতার (powerlessness) অনুভূতি দূর করা এবং সক্রিয় অংশগ্রহণে উৎসাহিত করা। অ্যামেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (APA) এই নতুন থেরাপিউটিক মডেলের কার্যকারিতা নিয়ে গবেষণা শুরু করেছে, যা প্রমাণ করে যে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা এখন পরিবেশগত বাস্তবতাকে গুরুত্ব দিচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইকো-অ্যাংজাইটির শিকার তরুণরা কেবল হতাশা অনুভব করে না, তারা প্রায়শই নিজেদের ভবিষ্যতের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এই থেরাপির মাধ্যমে তাদের ছোট ছোট পরিবেশগত পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করা হয়, যা তাদের মধ্যে ‘কার্যকারিতার অনুভূতি’ (sense of efficacy) ফিরিয়ে আনে।
এই উদ্যোগটি প্রমাণ করে যে, জলবায়ু সংকট মোকাবিলা এখন কেবল নীতি বা প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল নয়, এটি মানুষের মানসিক সুস্থতা এবং সক্রিয় অংশগ্রহণের উপরও নির্ভর করে।
