‘সবুজ ভবন’ নির্মাণে ভর্তুকি ও আইনের দাবি : নীতিগত সংস্কারের মাধ্যমে টেকসই নগরায়ন
অপরিকল্পিত নগরায়ন এবং কংক্রিটের প্রসারের কারণে পরিবেশ ও প্রতিবেশের যে ক্ষতি হচ্ছে, তা থেকে মুক্তি পেতে এখন পরিবেশবান্ধব বা ‘সবুজ ভবন’ (Green Building) নির্মাণকে সময়ের দাবি হিসেবে ঘোষণা করেছেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জোর দিয়ে বলেছেন, সব ক্ষেত্রে সবুজ ভবন নির্মাণকে উৎসাহিত করতে নীতিগত সংস্কার এবং আইনি কাঠামো প্রয়োজন।
সবুজ ভবনগুলিতে বিদ্যুৎ ও পানির ব্যবহার কমানোর জন্য ডিজাইন করা হয়। এতে সৌর প্যানেল, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা এবং কার্যকর শীতলীকরণ কৌশল (যেমন সবুজ ছাদ বা ভেজিটেশন) ব্যবহার করা হয়।
এটি একদিকে যেমন কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমায়, তেমনই নগর এলাকায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি রোধে (Urban Heat Island Effect) সহায়ক হয়। বাংলাদেশ গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (BGBC)-এর তথ্য মতে, সবুজ ভবন নির্মাণে প্রাথমিক খরচ কিছুটা বেশি হলেও, দীর্ঘমেয়াদী পরিচালন ব্যয় ৩০% পর্যন্ত কম হয়।
এই মডেলকে জনপ্রিয় করতে সরকার এবং নির্মাণ শিল্প উভয়কেই উদ্যোগী হতে হবে। বিশেষজ্ঞরা সবুজ ভবন নির্মাণে আগ্রহী ডেভেলপারদের জন্য বিশেষ কর ছাড়, ঋণ সুবিধা এবং ভর্তুকি প্রদানের সুপারিশ করেছেন।
এছাড়া, বিদ্যমান বিল্ডিং কোডগুলিতে পরিবেশবান্ধব নির্মাণ মানদণ্ডগুলিকে বাধ্যতামূলক করার এবং জনগণের মতামত নিয়ে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। নগরায়নের দ্রুততা বজায় রেখে পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য এই ধরনের নীতিগত উদ্ভাবন অত্যন্ত জরুরি।
