পশ্চিম এশিয়া ও বলকান অঞ্চলে ‘বিষাক্ত বর্জ্য’ পাচার: আন্তর্জাতিক পরিবেশগত অপরাধের নতুন রুট
পরিবেশগত অপরাধ এখন আর কেবল বন্যপ্রাণী পাচারে সীমাবদ্ধ নয়; এটি অত্যন্ত বিপজ্জনকভাবে অবৈধ বর্জ্য পাচার (Illegal Waste Trafficking)-এর ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অপরাধ চক্রের এক নতুন রুট তৈরি করেছে।
উন্নত দেশগুলি থেকে পশ্চিম এশিয়া এবং বলকান অঞ্চলের দুর্বল নিয়ন্ত্রিত বন্দরগুলিতে বিষাক্ত ইলেকট্রনিক বর্জ্য (e-waste), শিল্প রাসায়নিক এবং এমনকি পারমাণবিক বর্জ্য পাচার হচ্ছে বলে ইউরোপোল (Europol)-এর এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
এই অবৈধ বাণিজ্য চক্রগুলি প্রায়শই জাল নথিপত্র এবং ভুয়া ‘রিসাইক্লিং’ কোম্পানির আড়ালে কাজ করে। তারা বর্জ্যকে ‘পুনর্ব্যবহারযোগ্য পণ্য’ হিসেবে দেখিয়ে স্বল্প-আয়ের দেশগুলিতে পাঠিয়ে দেয়, যেখানে এটি সস্তা এবং অনিরাপদ উপায়ে প্রক্রিয়াজাত করা হয়।
এই প্রক্রিয়া জল ও মাটিকে মারাত্মকভাবে দূষিত করে এবং স্থানীয় শ্রমিকদের, যাদের মধ্যে প্রায়শই শিশু থাকে, স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে। এই অপরাধমূলক কার্যক্রমটি আন্তর্জাতিকভাবে তৃতীয় বৃহত্তম লাভজনক অপরাধ হিসেবে বিবেচিত, যা বছরে কয়েক বিলিয়ন ডলারের অবৈধ মুনাফা তৈরি করে।
এই অপরাধ দমনে ইন্টারপোল (INTERPOL), জার্মানির ফেডারেল পরিবেশ মন্ত্রণালয় (German Federal Environment Ministry) এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচার (WWF)-এর মধ্যে একটি তিন বছরের নতুন অংশীদারিত্ব শুরু হয়েছে।
এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো এই অবৈধ বাণিজ্য সনাক্ত করতে এবং মোকাবিলা করতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা। এটি পরিবেশগত অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বৈশ্বিক নজরদারি ও আইনি কাঠামো শক্তিশালী করার গুরুত্ব তুলে ধরছে।
