উপকূলীয় শহরগুলির জন্য নতুন নকশা
সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি এবং ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায়, বাংলাদেশসহ বিশ্বের উপকূলীয় শহরগুলির স্থপতি এবং পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা এখন ‘সবুজ অবকাঠামো’ (Green Infrastructure) এবং বন্যা প্রতিরোধী নকশা বাধ্যতামূলক করার জন্য সরকারি নীতি প্রণয়নের দাবি জানাচ্ছেন।
এই উদ্যোগটি কেবল পরিবেশের সুরক্ষাই দেবে না, বরং চরম আবহাওয়ার ঘটনাগুলিতে মানবিক ও অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতিও উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম বা কলকাতার মতো ঘনবসতিপূর্ণ শহরগুলিতে নতুন ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে উচ্চ-উত্থিত ভিত্তি (elevated foundations), সবুজ ছাদ (যা বৃষ্টির জল শোষণ করে) এবং স্থানীয়ভাবে প্রাপ্ত, তাপ-সহনশীল উপাদান ব্যবহার করা অপরিহার্য।
পাশাপাশি, পুরনো ভবনগুলির অভিযোজন (Retrofitting) এর জন্য সরকার এবং স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থাগুলির কাছ থেকে আর্থিক প্রণোদনা চাওয়া হয়েছে। ইউএন-হ্যাবিটাট (UN-Habitat)-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, সবুজ ভবনগুলি তাদের জীবনচক্রে প্রায় ৩০% কম শক্তি ব্যবহার করে এবং পরিচালন ব্যয়ও কমিয়ে আনে।
এই সচেতনতামূলক উদ্যোগটি নীতিনির্ধারকদের উপর চাপ সৃষ্টি করছে যেন তারা বিল্ডিং কোড এবং জোনিং আইনগুলিতে পরিবেশগত স্থিতিস্থাপকতা (Environmental Resilience) অন্তর্ভুক্ত করে।
এই সংস্কারগুলি নিশ্চিত করবে যে, ভবিষ্যতের নগরায়ন কেবল অর্থনৈতিক বৃদ্ধির উপরই মনোযোগ দেবে না, বরং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট ক্রমবর্ধমান ঝুঁকিগুলিকেও কার্যকরভাবে মোকাবিলা করবে।
