টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা(SDG) সংক্রান্ত UNLEASH ২০১৯
গত ০৬ নভেম্বর ২০১৯ থেকে ১৩ নভেম্বর ২০১৯ তারিখ পর্যন্ত চীনের শেনজেন শহরে UNLEASH ইনোভেশন ল্যাব ২০১৯ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছরের মত এবারও বিশ্বের ১৬০টিরও বেশী দেশ থেকে ১০০০ তরুণ মেধাবী পরিবর্তন নির্মাতাকে(Young Change Makers) আমন্ত্রণ জানানো হয়। এর লক্ষ্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তরুণ প্রতিভাবান মেধাসমূহকে একত্রিত করে এমন সমাধানের বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করা যা তাদের দেশগুলিকে জাতিসঙ্ঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা(SDG) অর্জনে সহায়তা করতে পারে।
UNLEASH এর শাব্দিক অর্থ মুক্ত বা উন্মুক্ত বা শিকলমুক্ত (Freedom) বা শৃঙ্খল মুক্ত করা, শৃঙ্খল মুক্ত করে কোন কিছু করার জন্য ছাড়িয়া দেওয়া বা স্বাধীনতা প্রাপ্ত হওয়া। সারা বিশ্ব জুড়ে অনেক প্রতিভাবান রয়েছে, UNLEASH এজন্যই সারা বিশ্বের সহস্র প্রতিভাকে একটি পরীক্ষাগারে ও প্লাটফর্মে একত্রিত করে, যা SDG অর্জনের জন্য নিবেদিত এবং যেখানে এসব প্রতিভাগুলি সরাসরি মূল্য নির্ধারণ করতে পারে এবং কর্পোরেশন গুলিতে, তাদের চিন্তা ভাবনাতে, ফাউন্ডেশনসমূহে, অলাভ জনক প্রতিষ্ঠানে, নতুন ব্যবসা শুরু করার অর্থ যোগানকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অনন্য ইকো-সিস্টেম তৈরি করতে সক্ষম হয়।
UNLEASH বিশ্বব্যাপী একটি উদ্ভাবনী পরীক্ষাগার (Lab) যা সারা বিশ্বের মানুষের মধ্য থেকে বাছাই করা ১০০০ মেধাবী তরুণের ব্যক্তিগত অন্তরদৃষ্টির সমন্বয়ে শতশত ধারণার রূপান্তর করতে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যগুলির একটি স্থায়ী বিশ্বকে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করে। এটি একটি অলাভজনক কর্মসূচী যা ২০১৭ সালে ডেনমার্কে ও ২০১৮ সালে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত হয়। চলতি ২০১৯ সালে চীনের সমুদ্রনগরী শেনজেনে এটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যগুলির অর্জনকে ত্বরান্বিত করা এবং সমস্যা সমাধানে প্রচলিত ধারণাগুলির পরিবর্তে আরও উন্নত সমাধান বের করাই এর মূল উদ্দেশ্যে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী উন্নয়ন ও উদ্ভাবনের অগ্রভাগে যে সকল ব্যক্তি, কোম্পানি, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিনিয়োগকারী ও ফাউন্ডেশনসমূহ রয়েছে তাদের মাঝে পরবর্তী প্রজন্মের প্রতিভার অনু প্রবেশ ঘটানো। এ পদক্ষেপের মাধ্যমে এসডিজি অর্জনে বিদ্যমান সমস্যাগুলি সমাধানের লক্ষ্যে অর্জিত ধারণাগুলি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আর্থিক সহযোগিতার একটি বিশ্বব্যাপী আন্তঃসংযোগ কাঠামো তৈরির উদ্দ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে।
এ বছর UNLEASH ২০১৯ এ অংশ গ্রহণের জন্য বিশ্বব্যাপী প্রতিভাবানদের আট হাজারটিরও বেশী SDG অর্জন সংক্রান্ত অ্যাপলিকেশনের প্রস্তাবিত সমাধানের উপর মতামতের ভিত্তিতে এবং কিছু সংস্থার মনোনয়নের উপর ভিত্তি করে এসব প্রতিভাবানদেরকে মনোনীত করা হয় এবং অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। তার মধ্যে বাংলাদেশ থেকেও ৯ জন প্রতিভাবান তরুণ মনোনীত হয়ে UNLEASH ২০১৯-এ অংশ গ্রহণ করে। বাংলাদেশের অংশ গ্রহণকারী প্রতিভাবানরা হলেন :

০১। তানজিলা মজুমদার দৃষ্টি
সিনিয়র ম্যানেজার, ব্রাক বাংলাদেশ।
-তার প্রস্তাবিত অ্যাপলিক্যাশনটি ছিল SDG-১১ (Sustainable Cities and Communities)এর উপর মতামত।
০২। জাওয়াদ শাদমান সিদ্দিক
কো-ফাউন্ডার, ওয়েসবট বিন
-তার প্রস্তাবিত অ্যাপলিক্যাশনটি SDG-১২ (Responsible Consumption and Production) এর উপর মতামত।
০৩। এস এম জিমরান খান
সহযোগী প্রকল্প বিশ্লেষক, এডিবি
-তার প্রস্তাবিত অ্যাপলিক্যাশনটি SDG-৯ (Industry, Innovation and Infrastructure) এর উপর মতামত
০৪। ফারিহা হোসাইন
প্রোগ্রাম অফিসার, আরএইচএসটিপি
-তার প্রস্তাবিত অ্যাপলিক্যাশনটি SDG-৩ (Good Health and Well-being) এর উপর মতামত।
০৫। ফারহানা শাহনাজ
ফান্ড রাইজিং অফিসার, প্রাকটিক্যাল অ্যাকশন
-তার প্রস্তাবিত অ্যাপলিক্যাশনটি SDG-৪ (Quality Education) এর উপর মতামত।
০৬। রিফাত আশরাফি
প্রকল্প ব্যবস্থাপক, সিমপ্রিন্ট টেকনোলজি লিঃ
-তার প্রস্তাবিত অ্যাপলিক্যাশনটি SDG-৪(Quality Education) এর উপর মতামত।
০৭। রিনিতা রেজওয়ানা
সাবেক যোগাযোগ ও লিঙ্গ বিষয়ক কর্মকর্তা
ইন্টিগ্রেটেড ফার্ম ম্যানেজমেন্ট ও কম্পোনেন্ট, ডিএই-ডানিডা
-তার প্রস্তাবিত অ্যাপলিক্যাশনটি SDG-১২(Responsible Consumption and Production) এর উপর মতামত
০৮। ওয়াহিদ হোসেন
সিইও প্রতিষ্ঠাতা, টাইগারবো
-তার প্রস্তাবিত অ্যাপলিক্যাশনটি SDG-১২(Responsible Consumption and Production) এর উপর মতামত।
০৯। গালিবা রাব্বানী
সমন্বয়কারী, তহবিল সংগ্রহ, ব্যাক আর্ন্তজাতিক।
-তার প্রস্তাবিত অ্যাপলিক্যাশনটি SDG-৩(Good Health and Well-being) এর উপর মতামত।

১৬০টিরও অধিক দেশ থেকে আগত ১২০০ জন (১০০০ জনের স্থলে) প্রতিভাবানদেরকে জাতি সঙ্ঘের SDG বিষয় ভিত্তিক অঞ্চল বিবেচনা করে ২২০টি দলে যৌথভাবে সমস্যা সমাধানের জন্য বিভক্ত করা হয় এবং প্রতিটি দলকে বিশেষজ্ঞ, সুবিধা প্রদানকারী ও বিনিয়োগকারীদের একটি কমিটি দ্বারা সহযোগিতা প্রদান করা হয়। এ বছরের থিমগুলো ছিল সুস্বাস্থ ও উন্নত জীবন যাপন(Good Health & Well-being), মান সম্পন্ন শিক্ষা (Quality Education), বিশুদ্ধজল ও সেনিটেশন (Clean Water & Sanitation), সাশ্রয় যোগ্য ও রূপান্তর যোগ্য শক্তি (Affordable & Clean Energy), শিল্প ও অবকাঠামো (Industry & Infrastructure), টেকসইশহর এবং যোগাযোগ (Sustainable City & Communications), দায়িত্বশীল ভোগ ও উৎপাদন (Responsible Consumption & Pproduction) এবং জলবায়ু বিষয়ক কর্মসূচী(Climate Action)। থিমগুলো সমাধানে প্রতিভাবানদের দল গুলো শেনজেন পলিটেকনিক, শেনজেন এনার্জি, শেনজেন ওয়াটার গ্রুপ, শেনজেন ইনিস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি, চায়না জেন ব্যাংক, বিজিআই এবং ভানকেডি জাইন কমিউনিটিতে ল্যাব হিসাবে কাজ করে।
১২-১৩ নভেম্বর ২০১৯ এ প্রতিভাবানরা তাদের উদ্ভাবিত সমাধানগুলি একটি জুরি বোর্ডের সামনে উপস্থাপন করে। এ বছর মোট ৪টি দল ৪টি লক্ষ্য ভিত্তিক উদ্ভবানী সমাধানের জন্য পুরস্কৃত হয়, যা নিম্নে প্রদত্ত হলো :
১। সর্বাধিক প্রতিশ্রুতিশীল অংশীদারিত্ব (Most Promising Partnerships) দল কিন্ডস্ (KINDS) এ পুরস্কার লাভ করেন। এ দলে ছিল কেনিয়ার এনজাম্বি মাতে, ভারতের সৌম্য লক্ষীনারায়ণ, মালদ্বীপের ইজমান সুহাইল, সাওটোম এবং প্রিন্সিপালের ডিড নিভিল হেট এবং ফ্রান্সের কেরিলিম। এ দলটি টেকসই শহরও সম্প্রাদায়গুলির থিমের অধীনে সর্বাধিক প্রতিশ্রুতিশীল অংশীদারিত্ব পুরস্কার পেয়েছে।
তাঁরা কেনিয়ার জৈব বর্জ্যের খোলা স্থানে ডাম্পিং, ডাম্পিং থেকে দরিদ্রদের জীবিকা নির্বাহ ও তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি, পরিবেশের ক্ষতিকারক দিক এবং ডাম্পিং স্থানের আশেপাশে কম মূল্যে বাসা ভাড়ার বিষয়টি তুলে ধরে সামাজিক উদ্যোগের মাধ্যমে কিভাবে এ সকল বর্জ্যকে রিসাইকেল, রিইউজ করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা যায় যেমন সাশ্রয়ী মূল্যে বিল্ডিং তৈরির উপকরণ তৈরি ও ভূমি থেকে দূরে সরিয়ে নেয়া যায় তার একটি উদ্ভাধনী সমাধান বের করেছে।
০২। সর্বাধিক মানসম্পন্ন সমাধান (Most Scalable Solution)
দল ওয়েস্ট এ্যাওয়েয়ার্স (Wast Awayers) দায়িত্বশীল ভোগ এবং উৎপাদন থিমের উপর কাজ করেছে এবং মাছ সংরক্ষণের উপর তাঁদের উদ্ভাবনী সমাধান বের করেছে। এ দলে ছিল ডেনমার্কের ফ্রিড্রিক হোগডাল, বুরুন্ডির নিম্পে দিদিয়ার, মেক্সিকোর আলকোসর ও অ্যারিলা গিন্ডসন এবং নইেজেরিয়ার চুকউয়েন ও ইউসুফ বিলেসনমি।
প্রতিবছর বিশ্বে ২৫বিলিয়ন টন মাছ নষ্ট হয় যথাযথ সংরক্ষণের অভাবে। মাছ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি বিশ্বের মানুষের চাহিদার ২৫ শতাংশ প্রোটিন সরবরাহ করে। দলটি একটি সাশ্রয়ী ব্যয়ে মাছ সংরক্ষণের উপায় বের করে। তাঁরা এনজাইমেটিক পদ্ধতির (Enzymatic Action) সাহায্যে মাছ সংরক্ষণের উপায় বের করে যার মাধ্যমে ব্যাকটিরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করা সম্ভব হবে এবং পচনের পূর্বেই মাছ বাজারে বিক্রয় করা যাবে।
০৩। সর্বাধিক ব্যাঘাত সৃষ্টিকারী প্রযুক্তি (Most Disruptive Technology):
দল চলো এসিস্ট (CHOLE ASSIST) এ পুরস্কারে ভূষিত হয়। মহিলারা অধিকতর দীর্ঘসময় ধরে তাদের ব্যবহৃত পোষাকের ব্যবহার চক্র বাড়ানোর মাধ্যমে কিভাবে নতুন পোষাকের চাহিদা হ্রাস করতে পারে –তার উপর তাঁরা কাজ করে। এ দলে ছিল ডেনমার্কের ক্যাথারিন রেইপুট নীল সেন, যুক্তরাষ্ট্রের রিচার্ড জনসন, দক্ষিণ আফ্রিকার বিয়ানক রেঞ্চক্রাষ্ট, স্পেনের ক্রিস্টিনাই চেনাগুসিয়া এবং ভারতের লাবণ্য গার্গের ।
তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের মহিলাদের পোষাক ব্যবহার নিয়ে কাজ করেছে। তাঁরা দেখিয়েছে যে, যুক্তরাস্ট্রে মহিলারা গড়ে ৭(সাত) বার তাদের ক্রয়কৃত পোষাক ব্যবহার করে থাকে। দলটি এআই চালিত ডিজিটাল স্টাইলিস্ট ব্যবহারের সমাধানটি সামনে রাখে যা মহিলাদের নতুন পোষাক কেনার পরিবর্তে বিদ্যমান পোষাকগুলি থেকে তাঁদের পছন্দসই সমন্বয়গুলির সন্ধান করতে পারেন এবং কিভাবে তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ কাপড়গুলিকে তাঁদের ডিজিটাল পোষাক হিসাবে রূপান্তর করতে পারে। এ জন্য দলটি বেশ কয়েকটি উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে জুরি বোর্ডের সামনে হাজির হয়।
০৪। সর্বাধিক উদ্ভাবন মূলক (Most Innovative)
টিম ক্রাইপটিকস্ (CRYPTICS) সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গলজনক থিমের অধীনে বিশ্বজুড়ে স্বল্প সুবিধা প্রাপ্ত জনগোষ্ঠীর জন্য কম মূল্যে উন্নত স্বাস্থ্য সেবা ও চিকিৎসা-সরঞ্জাম সরবারহ করতে পারে তারই উদ্ভাবনী সমাধানে নিয়ে এসেছেন। এ দলে ছিলেন নাইজেরিয়ার ইউসুফশিট্টু, ভারতের দত্তাত্রেয় সীতারাম, চীনের ঝাও চেনচেন, অস্ট্রেলিয়ার তালিয়া রোজ এবং মালয়েশিয়ার কলিসন সান্থসামি।
নাইজেরিয়ার ইউসুফ শিট্টু একজন কম বয়সী ডাক্তার। তিনি নাইজেরিয়ার হাসপাতালে কাজ কারার সময় দেখেছেন যে, হাসপাতালসমূহে অক্সিজেনের অভাবে জন্মের প্রথম মাসেই অনেক শিশু মারা যায়। তার এ অভিজ্ঞতাকে লক্ষ্য রেখে কিভাবে বাবল সিপিএপি (Bubble CPAP) নামক অক্সিজেন সরবরাহকারী যন্ত্রটি স্বপ্লমূল্যে তৈরি করে হাসপাতালসমূহে ব্যবহার করে শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস করা যায় তাঁর দল সেই উদ্ভাবনী নিয়ে হাজির হয়। যেখানে মূল যন্ত্রটির সর্ব্বোচ্চ মূল্য ৬০০০ ডলার এবং স্বল্পমূল্যে ৪০০ ডলার পর্যন্ত। কিন্তু তাদের উদ্ভাবিত যন্ত্রটির দাম পড়বে মাত্র ৪০ ডলার।
UNLEASH ২০১৯ আনুষ্ঠানিক ভাবে শেনজেন কনসার্ট হলে এক জাকজমক পূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়। সমাপ্তি অনুষ্ঠানে উদ্ভাবিত চারটি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট দলসমূহকে পুরস্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠানটি ঐতিহাসিক চীনা নৃত্য দিয়ে শুরু হয় এবং বিশিষ্ট অতিথিরা বক্তব্য ও পুরস্কার প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে কালর্স-বার্গ গ্রুপ ও কালর্স-বার্গ ফাইন্ডেশনের আনলেশ গুপের চেয়ারম্যান ফ্লেমিং বেজনব্যাকার, এশিয়া ও প্রশান্ত মহা-সাগরীয় অঞ্চলের জাতি সঙ্ঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের শক্তি (Energy) বিভাগের পরিচালক ল্উি হংপেং, শেনজেনের মেয়র চেন রগুই, চীন অ্যাসোসিয়েশন ফর সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারী মেং কিং হাই এবং দুজন নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব জনাব ড: মোঃ ইউনুস ও লেইমা বার্গেই বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে জাতিসঙ্ঘের সেক্রেটারি জেলারেল আন্তোনিও গুতেরাসের অভিনন্দন মূলক একটি ভিডিও বার্তা প্রদশিত হয়।