– রহমান মাহফুজ ও
সাদিয়া নূর পর্সিয়া
আমাদের দেশসহ এ মহাদেশটি যখন ঠান্ডায় কাতর, জীবন একেবারেই সংকুচিত, তখন আমাদেরই পাশ্ববর্তী আরেকটি মহাদেশের মহাদেশ অস্ট্রেলিয়া গরমে জীবন অতিষ্ট হয়ে উঠছে। ইহাই জলবায়ু পরিবর্তণের কূফল যা আমরা আর অস্ট্রেলিয়া বাসী ভিন্ন ভিন্ন ভাবে ভোগ করছি ।
বেশ কিছুদিন হতেই তাপমাত্রা অস্ট্রেলিয়াতে বেড়েই চলছে, কমার কোন লক্ষণ নাই। গরম উষ্ণায়নের ফলে দাবাদাহ বন জ্বলছে। এমন মারাত্বক আকার দারণ করেছে যে অস্ট্রেীলয়ার মত একটি আধুনিক দমকল বাহিনী আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করেও কিছুতেই আগুনের লেলিহান শিখা থামাতে পারছে না এবং দাবাদাহ এখন মেলবোন শহরের শহরতলীতে হানা দিয়েছে। আগুন নেবাতে গিয়ে ইতোমধ্যে বহু সম্পদের হাণীসহ দমকল বাহিনীর কর্মীসহ বেশ কিছুলোক নিহত হয়েছে।
গত ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯ বুধবার অস্ট্রেলিয়া রেকর্ডের সবচেয়ে উষ্ণ দিনটি অনুভব করে এবং এটি বসন্তের সবচেয়ে বিপদজনক ব্রাশশফায়ার হিসাবে অস্টেীলয়ানদের নিকট আর্ভিভূত হয়। উষ্ণতা এমন পর্যায়ে পোঁছে যে, অস্ট্রেলিয়া – নিউজিল্যান্ডের চলমান টেস্ট মাঝখানে বন্ধ করে নিউজল্যান্ডের খেলোয়াড়রা নিজ দেশে পাড়ি দিতে বাধ্য হয়।
চলমান বিরূপ পিরিস্থিতিতে কার্বন মার্কেট ইনস্টিটিউট [01] কর্তৃক পরিচলিত জলবায়ুর পরিবর্তণ রোধে ২০৫০ সালেরে মধ্যে জাতিসংঘের বেধে দেয়া কার্বন নিঃসরন শূণ্যের কোটায় নামিয়ে আনার বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্যবসায়ী সম্প্রাদয়ের উপর একটি জরিপ পরিচালনা করা হয়।
জরিপের ফলাফলে দেখা যায় যে, অস্ট্রেলিয়ার ব্যবসায়ীরা ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরন শূণ্যের কোটায় নামিয়ে আনাকে সমর্থন করে। জরিপে দেখা যায়, অস্ট্রেলিয়ার ৯৬ শতাংশ মানুষ বিশ্বাস করে যে অস্ট্রেলিয়ার একটি কার্বনবিহীন অর্থনীতিতে রূপান্তরিত হতে আর দেরি করা উচিত নয়।
অস্ট্রেলিয়ার জনগন সমন্বিত শক্তি নীতির (Energy Policy) অভাব ও সরকারের প্রস্তাবিত কার্বন ক্রেডিট [02] ব্যবহার সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং সরকারকে আরও উচ্চাভিলাষী জাতীয় জলবায়ু নীতির জন্য আহ্বান জানিয়েছে। সাম্প্রতিক প্রকাশিত ২০০ টিরও বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উপর কার্বন মার্কেট ইনস্টিটিউটের জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
জরিপে অংশগ্রহনকারী ব্যবসায়ীদের এক তৃতীয়াংশই জাতীয় গ্রীণ হাউজ এবং রির্পোটিং আইনের আওতায় বাধ্যবাধকতার অধিনস্ত এবং এগুলো হল তেল – গ্যাস কুপ খননকারী ও উৎপাদনকারী শিল্প। জরিপের অন্যান্য সংস্থাগুলো ছিল এ সকল প্রকল্পে বিনিয়োগকারী, কার্বন প্রকল্প বিকাশকারী; ও কার্বন বাজার বিশেষজ্ঞ এবং পেশাদার পরিষেবা সরবরাহকারী।
জরিপটি ব্যবসায়িক এবং শিল্প গোষ্ঠীগুলির মধ্যে সরকারের বর্তমান নীতি নির্ধারণের বিষয়ে ব্যাপক উদ্বেগ খুঁজে পেয়েছে, যেখানে ৯৪ শতাংশ বলেছেন যে এই প্রয়াসটি অস্ট্রেলিয়ার ২০৩০ সালে কার্বন নিঃসরণের পরিমান ২০০৫ সালের তুলনায় ২৬-২৮ শতাংশ হ্রাসের প্যারিস চুক্তি পূরণের জন্য পর্যাপ্ত নয়। এটি সেই ৯২ শতাংশ থেকে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত যারা ২০১৮ সালে যখন জরিপটি শেষ বার করা হয় তখন একই দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেন।
অনুরূপ সংখ্যক উত্তরদাতা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, ব্যবসায়ের ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ করতে এবং নেট-শূন্য কার্বন নির্গমন অর্থনীতিতে রূপান্তরের সুযোগকে বৃদ্ধি করতে বর্তমান নীতিগুলি অপর্যাপ্ত।
অক্টোবরে, অস্ট্রেলিয়ার রিজার্ভ ব্যাংক তার আর্থিক স্থিতিশীলতার পর্যালোচনা ব্যবহার করে সতর্ক করে দিয়েছিল যে বিনিয়োগকারী এবং সংস্থাগুলির সক্রিয়ভাবে তাদের কার্বন ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ করা ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা,, অস্ট্রেলিয়ান সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কমিশন (ASIC) এবং অস্ট্রেলিয়ান প্রুডেনশিয়াল রেগুলেশন অথরিটি (APRA) সতর্ক করে দিয়েছে যে, কর্পোরেট অস্ট্রেলিয়ার জন্য জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকির কারণ হতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ার কর্মকর্তারা গত কয়েকদিন আগে অনুষ্ঠিত মাদ্রিদে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তণ সম্মেলনে প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছে যে, প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কিওটো প্রোটোকল [01] থেকে ৪১১ মিলিয়ন টন কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করবে।
গত বুধবার, জ্বালানি মন্ত্রী অ্যাঙ্গাস টেইলর অস্ট্রেলিয়ার Financial Review কে বলেছিলেন যে অস্ট্রেলিয়া সম্ভবত কার্বন ক্রেডিট [02] ব্যবহার না করেই প্রতিশ্রুত তার কার্বন হ্রাস লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করবে। তিনি দাবি করেণ যে সরকার ইতিমধ্যে লক্ষ্যের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
তবে গত মাসে প্রকাশিত একটি সরকারী প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে, অস্ট্রেলিয়ার ক্ষমতাসীন জোট সরকার আলোচ্য যে হিসাবের উপর নির্ভর করছে , তা হলো অস্ট্রেলিয়া আশা করছে যে, তারা যদি কার্বন ক্রেডিট ব্যবহার না করে, তবে ২০৩০ সালের মধ্যে তারা ২০০৫ সালের মাত্রার চেয়ে ১৬ শতাংশ হ্রাস অর্জন করতে পারবে।
কার্বন ক্রেডিট ব্যবহারের ফলে অস্ট্রেলিয়া প্রথম কিওটো চুক্তির অধীনের চেয়ে আরও ভাল ফলাফল অর্জনে সক্ষম হয়েছিল, যেখানে ১৯৯০ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে নির্গমনে ৮ শতাংশ হ্রাসের লক্ষমাত্রা নিদ্ধারণ ছিল।
চাটার্ড ম্যানেজম্যান্ট ইন্সটিটিউট (CIM) কর্তৃক পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে যে প্রায় তিন-চতুর্থাংশ উত্তরদাতারা (৭৬ শতাংশ) অস্ট্রেলিয়ার ২০৩০ সালের কার্বন নির্গমন হ্রাসের লক্ষ্য অর্জনের জন্য কার্বন ক্রেডিটগুলি ব্যবহার করতে সক্ষম হওয়া উচিত বলে মনে করেন। তাদের মত হল, অস্ট্রেলিয়ার কার্বন নি:সরণ সমালোচক এবং অন্যান্য যে সকল দেশ কার্বন নি:সরণ অনুশীলন নিষিদ্ধ করতে চায় তাদের সাথে যুক্ত হয়ে কাজ করা।
একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অস্ট্রেলিয়ার খামারগুলো প্রতি বছর ২২ শতাংশ হারে গত ২০ বছর যাবত মুনাফা হারাচ্ছে।

এছাড়াও চলতি শতাব্দীর মধ্যভাগে কার্বন নি:গমণ হ্রাসের পৃথিবী ব্যাপি যে উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তার জন্য অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান জোট সরকারের উপর চাপ বাড়ার পেক্ষাপটে সরকার ইঙ্গিত করেছে যে পরের বছর তারা তা অর্জণের লক্ষ্যগুলো চিহ্নিত করবে। এ লক্ষ্য অর্জণে বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো (৮৩ শতাংশ) ২০৫০ সালের মধ্যে নেট-শূন্য কার্বন নির্গমনের জাতীয় লক্ষ্যকে সমর্থন করে।
জরিপে অংশকারীদের প্রায় সবাই (৯৬ শতাংশ) একমত হয়েছে যে, অস্ট্রেলিয়া কার্বন ব্যবহার বন্ধ করতে যত বেশি বিলম্ব করবে, উচ্চ কার্বন নির্গমন শিল্পগুলোর জন্য সরকারকে তত বেশি “আকস্মিক, জোরালো এবং বিঘ্নজনক” নীতি গ্রহন করতে হবে।
অস্ট্রেলিয়ার দীর্ঘমেয়াদী নীতি কেমন হবে জানতে চাইলে জরিপে অংশগ্রহনকারী ব্যবসায়ী নেতারা নিয়মিত পর্যালোচনা করার সুযোগ রেখে লক্ষ্য পূরণের জন্য একটি সমন্বিত জাতীয় জলবায়ু নীতি গ্রহন করার পক্ষে মত প্রদান করে যা ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ নেট শুণ্যের কোটায় নিয়ে আসার লক্ষ্যেকে সামনে রেখে আবর্তিত হবে।
তারা “খাত ভিত্তিক কার্বনমুক্ত করার কৌশল” প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছে যা কার্বন নি:সরণ হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা, কাঠামোগত বাধাসমূহ এবং অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধা যেমন কার্বনের উপর মূল্য নির্ধারণ এবং পুরাতন কয়লা চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো দূষণমূক্ত বিদুৎকেন্দ্র দ্বারা সুশৃঙ্খলভাবে প্রতিস্থাপন নিশ্চিত করার একটি পরিকল্পনা নির্ধারণ করবে।
জরিপে অংশগ্রহনকারীগন একটা নিরাপত্তা ণীতি প্রণয়নের জন্য মতামত প্রদান করে যাতে উচ্চ কার্বন নি:সরণকারী কোম্পাণী, প্রতিষ্ঠান, সংস্থা উচ্চ হারে এবং কম কার্বন নি:সরণকারীরা কম হারে কার্বন কর/কার্বন মূল্য [03] পরিশোধ করবে এবং ৮৩ শতাংশ ব্যবসায়ী এর জন্য একটি ভিত্তিরেখা নির্ধারণ করতে বলে। প্রায় তিন-চতুর্থাংশ (৭৪ শতাংশ) চাইছেন যে নিম্ন-নির্গমন করার সুযোগগুলিও কার্বন কর/মূল্য প্রদানের অধীনে নেওয়া উচিত।
জলবায়ু পরিবর্তন এবং কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের বিষয়টি ব্যবসায়ীদেরকে আরও চাপের মুখে ফেলেছে কিনা- এমন প্রশ্নে, জরিপের উত্তরদাতাদের ৮৪ শতাংশ জানিয়েছেন যে তাদের সংস্থার বোর্ড এবং কার্যনির্বাহী স্তরে জলবায়ু পরিবর্তনের আর্থিক ও কৌশলগত ঝুঁকিকে উপলব্ধি করতে পেরেছে।
মাত্র অর্ধেকেরও কম (৪২ শতাংশ) ব্যবসায়ী জানিয়েছে যে, গত ১২ মাসে তাদের সংস্থার জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত কর্মকান্ডে অংশীদারী বাড়িয়েছে।।
চাটার্ড ম্যানেজম্যান্ট ইন্সটিটিউট এর প্রধান নির্বাহী জন কনর বলেছেন, ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা এবং সরকারী নীতিমালার মধ্যে বিস্তর ব্যবধান রয়েছে যা ব্যবসায়ীদের একটি উদ্বেগের কারণ ।
"এই জরিপটি আমাদের জানিয়েছে যে অস্ট্রেলিয়ার সর্বাধিক কার্বন নির্গমনকারী সংস্থাগুলিসহ অস্ট্রেলিয়ার ব্যবসায়ীরা ইতোমধ্যে নেট-শূন্য কার্বন নির্গমন বিশ্ব গড়ার পরিকল্পনা করছে," কনর বলেছেন।
কনর বলেছিলেন যে অস্ট্রেলিয়ান ব্যবসায়ীরা এই জ্ঞান আঁকড়ে ধরে আছে যে ২০৫০ সালের মধ্যে বিজ্ঞানের চাহিদানুযায়ী নেট-শূন্য কার্বন নির্গমন প্রয়োজন, পাশাপাশি “নীতিগত অস্থিরতা, বৈশ্বিক কার্বন বাজারের বিকশিত হওয়া, বিনিয়োগকারীদের পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান ও প্রয়োজনীয় রির্পোট প্রদানের প্রদক্ষেপেরও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
Source: The Guardian.
তথ্যসূত্র:
[01]. কার্বন মার্কেট : গ্রীণ হাউজ গ্যাস [প্রধানত, কার্বন ডাই অক্সাইড (CO2), others মিথেন (CH4), নাইট্রাস (N2O), জলীয় বাস্প (H2O । vapour)] এর নি:সরণ হ্রাসে ১৯৯৭ সালের ডিসেম্বর মাসে জাপানের কিয়েটো শহরে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন (ইউএনএফসিসিসি) এ বিশ্বের ১৯২ টি দেশ একটি চুক্তিতে উপনীত হয় – যা কিওটো প্রটোকল নামে অবিহিত। এ চুক্তিতে প্রত্যেকটি দেশকে একটি নিদিষ্ট হারে গ্রীণ হাউজ গ্যাস বিশেষ করে কার্বন নি:সরণ হ্রাসের পরিমান নির্ধারণ করে দেয়া হয় যাতে ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপি কার্বন নি:সরণ নেট শূণ্যের কোটায় আনা যায়। ফলে কোন দেশ বা সংস্থা কিওটো প্রটোকল মেনে শিল্প উৎপাদন ঠিক রাখা বা বৃদ্বি অব্যাহত রাখতে হলে যে সকল দেশ বা সংস্থা তাদের কার্বন উৎপাদন সত্তা বিক্রয় করে তাদের নিকট হতে কার্বন সত্তা ক্রয় করে বা বায়ু মন্ডল হতে কার্বন শোষণ করে এমন অবকাঠামো গড়ে তোলে যেমন বন সৃষ্টি করে তা কি হারে বায়ু মন্ডল হতে কার্বন শোষণ করে তা বিঞ্জান ভিত্তিক নির্ণয়ণ করার পর ক্রয়-বিক্রয় করে তাহাই হল কার্বন ট্রেড এবং যে নিয়মে যেথায় এ ক্রয় বিক্রয় চলে তা হল কার্বন ট্রেড মাকেট বা কার্বন বাজার। আর ক্রয়ের পরিমান বুঝাতে কার্বন ক্রেডিট এবং যে মূল্যে ক্রয় বিক্রয় হয় তা হল কার্বন মূল্য। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় যে, অস্ট্রেলিয়ার কোন একটি কার্বন নি:সরণকারী শিল্প ইন্ডাষ্ট্রিজ তাদের উৎপাদন একই রাখার জন্য বা উৎপাদন বৃদ্বি করতে চাইলে তাদের কার্বন নি:সরণ কোটা ঠিক রাখার জন্য অস্ট্রেলিয়ারই আন্য কোন প্রতিষ্ঠানের নিকট বা আফ্রিকার কোন দরিদ্র দেশেরে নিকট কার্বন স্বত্ত বা নিদিষ্ট বনাষ্ণলের কার্বন শোষণের পরিমান ক্রয় করে তাদের কার্বন নি:সরণ কোটা বৃদ্ধি করতে পারে। এ প্রদ্বতিতে বিশ্বের যে কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান বা দেশ অন্র কো প্রতিষ্ঠান বা দেশ হতে কার্বন ট্রেড পারে। বাংলাদেশের সুন্দর বন দ্বারা কার্বন বানিজ্যের মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভাবনা রয়েছে। এশিয়ার সিঙ্গাপুর, চীনের সাংহাই ও সেনজেন এ কার্বন ট্রেড মার্কেট রয়েছে।
[02]. কার্বন কর : কোন দেশের সরকার কর্তৃক আরোপিত কর। কোন দেশের কার্বন কোটা ঠিক রাখার জন্য এবং বায়ু দূষণ হ্রাসের জন্য যে সকল সংস্থা কার্বন নি:সরণ করে সেগুলোর উপর নিদিষ্ট হারে সরকার কর্তৃক কার্বন কর নিদ্ধারণ ও আদায় করা হয় এবং তা দ্বারা পরিবেশ উন্নয়ন যেমন গাছ রোপন ও পরিচর্চা করা, বিনোদন পার্ক করা হয়, বায়ুদূষণের কারণে স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় করা ইত্যাদি। সাধারনত কার্বন নি:সরণ নিয়ন্ত্রণে কার্বন কর সরকারের এক ধরনের অস্ত্র হিসাবে গণ্য করা হয়।
[03]. কার্বন ক্ষতিপূরণ : কার্বন নিঃসরণের জন্য দায়ী কোম্পাণী, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, দেশ কার্বন নিস:সরণে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, দেশসমূহকে প্রদত্ত ক্ষতিপূরণ। ইহা পারস্পারিক অলোচনা, আন্তর্জাতিকভাবে বা কোর্টের মাধ্যমে নির্ধারণ হতে পারে।